জাতীয় সংসদে ‘কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০২০’ নামক একটি বিলের সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী খুব ভালো মানুষ, ওনাকে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব পছন্দ করি।’ এসময় উপস্থিত সকল সংসদ সদস্যকে হাসতে দেখা যায়।

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘ওনি চমৎকার কথা বলেছেন। টাকা পাচার নিয়েও ওনি (বাণিজ্যমন্ত্রী) একটা কথা বলেছেন, মুশকিল হলো যতক্ষণ অপরের দিকে তাকিয়ে থাকবো, ততক্ষণ পর্যন্ত আয়নায় নিজের মুখ দেখবো না, এটাই স্বাভাবিক। বাণিজ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো ওনি যদি একটু আয়নার দিকে তাকান এবং গ্লোবাল ফাইনান্স ইউকিউটি রিপোর্ট দেখেন তাহলে স্পষ্ট হয়ে যাবে টাকা পাচারের বিষয়টা কি? সংসদে এ কথাকে কেন্দ্র করে বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০২০ পাসের আগে আনিত জনমত যাচাই-বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়।

জবাব দিতে গিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমাকে আয়নায় চেহারা দেখতে বলেছেন। আমার যা রং, চেহারাও আমার সুবিধার না। সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি। তবে টাকা পাচারের ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত সচেতন।

কচুরিপানা খাওয়া নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রীকে নিয়ে সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। এর জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ৪০-৪৫ বা ৫০ বছর পূর্বে তখন ঢাকাতে কেউ কচুরলতি খেত না। কিন্তু আজকে কচুরলতি একটা খুব সুস্বাদু এবং প্রয়োজনীয় তরকারি হিসেবে চালু হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আমরা চা খাই চা পাতা দিয়ে। নতুন কনসেপ্ট এসেছে পাটের পাতা থেকে চা পাতার মতো এক ধরনের ড্রিংকস তৈরি হচ্ছে। হয়তো একথা আগে বললে বলা হতো এটা আবার কেমন কথা, দিন তো বদলাচ্ছে প্রতিদিন নতুন নতুন চিন্তা নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি আসছে। আগে মাশরুম দেখলে বলা হতো হারাম খাবার ব্যাঙের ছাতা। হয়তো এমন দিন আসবে কচুরিপানা থেকে খাবার বের হবে যার ফ্রুট ভ্যালু অনেক খানি ভালো। অপেক্ষা করি তার জন্য। নেক্সট ওয়েট ফর দ্যাট।

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়েও বিরোধীদের সমালোচনার উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে আমাদের পেয়াজ উৎপাদনের যে ঘাটতি তার অধিকাংশই আসে ভারত থেকে। কিন্তু ভারত্রে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় তারা পেঁয়াজ রপ্তানি করতে নিষেধাজ্ঞা দেয়, যার ফলে আমাদের বাজারে তার ইফেক্ট পড়ে। তবে আমাদের সমস্যা আমরা নিজেরাই বেশি উৎপাদন করে মিটিয়ে ফেলবো, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে পেঁয়াজ আর আমদানি করতে হবে না।