সড়কের কাজে নিম্নমানের পাথর-বালুসহ নানা নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তদন্তে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরগুনার পাথরঘাটা-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের কাজ পরিদর্শনে আসেন সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ ওই দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তা পর্যায়ের একটি প্রতিনিধ দল। জানাগেছে,১৮কোটি টাকা ব্যয়ে বরগুনার পাথরঘাটা-ঢাকা সড়কের কেরামতপুর থেকে পাথরঘাটা পর্যন্ত ১১কিলোমিটার রাস্তার কাজে চরম অনিয়মের অভিযোগে ১সপ্তাহ আগে (১০ ফেব্রুয়ারি) কাজটি বন্ধ করে দেন স্থানীয় সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন। ঘটনাটি দেশের প্রধান জাতীয় দৈনিক গুলোতে ফলাও করে প্রকাশিত হলে। নরেচরে বসে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ। পত্রিকার সংবাদ দেখে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত দল সরজমিনে নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে আসেন। তদন্ত দলের প্রধান অতিরিক্ত সচিব রওশন আরা হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন, সরকার চায় কাজের উন্নত মান। যেভাবে সিডিউলের নির্দেশনা রয়েছে; ঠিক সেভাবেই সকল সড়কের কাজ করতে হবে। কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। আমরা আবার আসবো।মানুষের কথা শুনবো। দরকার হলে আবারও সড়কের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখবো। এসময় উপ-সচিব শামিমউজ্জামান বলেন, যেভাবে ওয়ার্ক অর্ডার রয়েছে সেভাবেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। স্থানীয় সুধীজনদের সাথে কথা বলেন সড়ক ও জনপদের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলি সুশীল কুমার সাহা। তিনি বলেন,কাজটি যেহেতু চলোমান রয়েছে সেখানে এখন কিছু বলা সমীচীন হবে না। কাজটি শেষ করতে দিন অনিয়ম হলে ছাড় দেয়ার সূযোগ নাই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সড়ক ও জনপদের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফজলে রাব্বী। ঘটনার সময় স্থানীয় মানুষের প্রশ্নবান থেকে অনেকটা নিরাপদ দুরত্বে থাকেন সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলি কামরুজ্জামান। স্থানীয়রা জানান,পাথরঘাটার এই ১১কিলোমিটার সড়কের কাজটি তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানী নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পেলেও সাব কন্ট্রাক নেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার আবু হানিফ নামের জনৈক ঠিকাদার। তিনিও একধরনের জনরোষের মুখে পরেন তদন্ত কর্মকর্তাদের সামনে। তদন্তকালে আরও উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির,উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমাউন কবির, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন প্রমুখ