×

সারাদেশ

শিক্ষার্থীকে মারলেন হেলপার, রাতে মহাসড়ক অবরোধ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৩০ এএম

শিক্ষার্থীকে মারলেন হেলপার, রাতে মহাসড়ক অবরোধ

রাতে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

শিক্ষার্থীকে মারলেন হেলপার, রাতে মহাসড়ক অবরোধ

বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে আসার পথে বাসের হেলপার কর্তৃক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম মনিরুল ইসলাম। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নিজ জেলা যশোর থেকে গড়াই পরিবহনে করে আসার সময় এ পরিস্থিতির শিকার হন ঐ শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে হেলপারের শাস্তি ও বাসটি আটকের দাবিতে রাত ১০টা থেকে প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপি খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।

ভুক্তভোগী মনির জানান, বাড়ি থেকে বাসে আসার পথে বাইরে থু থু ফেলার সময় কিছুটা বাসে লেগে যায়। এতে বাসের হেলপার তাকে গালি দেয় ও থু থু মুছে ফেলতে বলে। মনির গালির প্রতিবাদ করতে গেলে হেলপার কোনো কথা না শুনেই তাকে আঘাত করে। এ সময় সে নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলে হেলপার অকথ্য ভাষায় গালি দেয় ও বিভিন্ন হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়ারও চেষ্টা করে ঐ হেলপার।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিষয়টি মুঠোফোনে তার এক সিনিয়রকে জানালে ক্যাম্পাসে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের পাশে জড়ো হয়ে গাড়ির অপেক্ষায় থাকে। এ সময় কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ও ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ ও ইবি থানা পুলিশ।

পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে গাড়ি ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে কোনোভাবে জানতে পেরে গাড়ির ড্রাইভার, হেলপারসহ সবাই পালিয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা ওই গাড়ি আটক করা ও হেলপারের শাস্তির দাবিতে রাত ১০টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, এর আগেও অনেকবার এই রুপসা-গড়াই গাড়ির ড্রাইভার-হেলপার কর্তৃক অনেক শিক্ষার্থী হুমকি-ধামকি এমনকি মারধরেরও স্বীকার হয়েছে। এবার আমাদের ধৈর্যে্যর বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। তাই সড়ক অবরোধে নামতে বাধ্য হয়েছি।

পরে শৈলকূপা থানা এস আই মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় বাসটি আটক করেন পুলিশ। বাসের নম্বর সাতক্ষীরা-ব ১১-০০০৯। এ সময় আরেক গড়াই বাসের ড্রাইভার-হেলপার কর্তৃক ঐ বাসের ড্রাইভার-হেলপারকে সহযোগিতা করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ঐ বাসটিকেও আটক করা হয়। বাসটির নম্বর সাতক্ষীরা-ব ১১০০১১। এ সময় গাড়ি আটকের সংবাদ পেয়ে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন," দুটি গাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App