×
Icon ব্রেকিং
ইরানের ভূখণ্ডে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, ইরানের বিভন্ন শহরে বিমান চলাচল বন্ধ

জাতীয়

নৌযান থেকে মাশুল ও জরিমানার বিধান রেখে বাতিঘর আইন পাস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:৫২ পিএম

নৌযান থেকে মাশুল ও জরিমানার বিধান রেখে বাতিঘর আইন পাস
সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপদ নৌ চলাচল এবং দেশের বন্দরে চলাচলকারী নৌযান থেকে মাশুল ও জরিমানা আদায়ের বিধান রেখে বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০২০ পাস হয়েছে সংসদে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে ‘বাংলাদেশ বাতিঘর বিল-২০২০’ বিলটি সংসদে স্থিরকৃত আকারে পাস হয়েছে। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এরআগে বিলটির ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, ফখরুল ইমাম ও পরি ফজলুর রহমানের তিনটি সংশোধনী গৃহীত হয়। জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সদস্যদের আনা অপর সংশোধনী, জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বন্দরে আগত এবং প্রত্যাগত ও এক বন্দর থেকে অন্য বন্দরে যাতায়াতের জন্য জাহাজের সময়, বাতিঘর মাশুল নির্ধারণ ও আদায় করবে। নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তর বা তার পক্ষে কাস্টমস কমিশনার সরাসরি বা অনলাইন ব্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাতিঘর মাশুল আদায় করবে। জাহাজের নাম টনেজ হিসেবে মাশুল নির্ধারিত হবে। তবে দশ টনের নিচে কোন জাহাজবা অবাণ্যিজিক জাহাজ এবং নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত জাহাজের কোন মাশুল লাগবে না। এই আইনের অধীনে সরকার একটি বাতিঘর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করবে। এছাড়া নৌপরিবহণ অধিদপ্তর একজন প্রধান পরিদর্শক ও প্রত্যেক বাতিঘর অঞ্চলের জন্য তত্ত্বাবধায়ক ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরিদর্শক থাকবে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯২৭ সালের ‘দ্যা লাইট হাউজ এ্যাক্ট, ১৯২৭ রহিত করে আইনটি সময়োপযোগী করে পুণ প্রণয়ন করা হয়। ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটি বাংলা ভাষায় রূপান্তর, সংশোধন ও পরিমার্জন করে প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। সে আলোকে বিলটি প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন উপক‚রীয় অঞ্চলে বর্তমানে ৩টি বাতিঘর বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া আরো ৪টি বাতিঘর স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App