×

আন্তর্জাতিক

আতঙ্ক চেপেই কর্মক্ষেত্রে ফিরছেন চীনারা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৩০ এএম

আতঙ্ক চেপেই কর্মক্ষেত্রে ফিরছেন চীনারা

করোনাভাইরাস

  •  মৃত্যু ৯১০, আক্রান্ত ৪০ হাজার
  • চীনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ৩ হাজার ২৮১ জন

নতুন করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বুকে চেপেই নববর্ষের ছুটি শেষে ধীরে ধীরে কাজে ফিরতে শুরু করেছেন চীনের বাসিন্দারা। কাজের ক্ষেত্রে আরোপ করা কিছু সরকারি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পর গতকাল সোমবার বিভিন্ন দপ্তর ও কারখানায় ফের যোগ দিচ্ছেন লোকজন। খবর রয়টার্স। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, গত রবিবার একদিনেই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর ডিসেম্বরের শেষ দিনে সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এ দিন নতুন করে আক্রান্ত হন আরো ৩ হাজার ৬২ জন। এ নিয়ে চীনে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৪০ হাজার ১৭১ জনে। তবে আশার কথা, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ২৮১ জন ভালো হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অন্যদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গতকাল বেইজিংয়ের চেংইয়ং জেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় তৈরি বিশেষ হাসপাতালে গিয়ে নিজেকে পরীক্ষা করান। টেলিভিশনের খবরে দেখা যায়, ভাইরাস প্রতিরোধী মাস্ক ও শরীরে কালো রঙের জ্যাকেটে মোড়ানো জিনপিংকে একজন স্বাস্থ্যকর্মী হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করছেন। চীনা নববর্ষ উপলক্ষে ছুটি জানুয়ারি মাসের সঙ্গেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভাইরাসের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর ছুটি ১০ দিন বাড়িয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি গতকালও দেশটির বহু কর্মস্থল বন্ধ ছিল। বাড়ি বসেই অফিসের কাজ করছেন বহু কর্মী। চীনের বাইরে কমপক্ষে ২৫ দেশে আড়াইশর বেশি মানুষের দেহে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে ইতোমধ্যে। সিঙ্গাপুর প্রবাসী এক বাংলাদেশির শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় আইসোলেশন ইউনিটে নেয়া হয়েছে তাকে। বেইজিংয়ের সাবওয়ে

লাইনগুলোর অধিকাংশ ট্রেনের আসনই ফাঁকা ছিল গতকাল। সকালের ব্যস্ততম সময়ে অল্প কিছু যাত্রীর সবাই মাস্ক পরা ছিল। গণপরিবহনের বদলে মোটরসাইকেলে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে চীনের ফরেন এক্সচেঞ্জ প্রশাসনের কর্মী জিন ইয়াং জানান, তাদের অফিসের সব কর্মীকে মাস্ক পরার নির্দেশ ও মুখোমুখি বৈঠক এড়াতে বলা হয়েছে। অফিসের ক্যান্টিনও বন্ধ রাখা হয়েছে। চেন নামের আরেক বিমাকর্মী জানান, তাদের গণপরিবহন ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে। যদিও আমার বাড়ি শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে অনেক দূরে। আমি সাধারণত সাবওয়ে ট্রেনে যাওয়া-আসা করি, কিন্তু আজ সকালে ক্যাবে করে অফিসে আসতে ২০০ ইউয়ান খরচ করতে হয়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে এ পর্যন্ত দুজন চীনা নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের একজন ফিলিপাইন এবং অন্যজন হংকংয়ে মারা যান। করোনার বিস্তার ঠেকাতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শাসকরা শহরগুলো প্রায় অবরুদ্ধ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কলকারখানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে চীনের ব্যস্ত শহরগুলো ভুতুড়ে নগরে পরিণত হয়েছে। করোনা ঠেকাতে চীনের উহান শহরকে ১ কোটি ২৯ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে হংকংয়ের দাতব্য সংস্থা লি কা-শিং ফাউন্ডেশন। মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় গত ৩০ জানুয়ারি করোনা ভাইরাস নিয়ে বৈশি^ক জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা। ২০০২-০৩ সালে করোনা ভাইরাস পরিবারের আরেক সদস্য সার্স মহামারিতে মৃতের সংখ্যা ছিল ৭৭৪। সার্স সে সময় ছড়িয়ে পড়ে বিশে^র দুডজন দেশে, আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আট হাজার একশর কাছাকাছি। এর আগে ৫ জন ব্রিটিশ ভ্রমণকারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর স্থানীয় দুটি স্কুল বন্ধ করে দেয় ফ্রান্স। এ ছাড়া মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনামে একজন করে নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং জানান, বিভিন্ন অঞ্চলে যৌথ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং কঠোর প্রতিরোধের পদক্ষেপগুলো কার্যকর হওয়ায় গত রবিবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশ হ্রাস পেলেও গতকাল সোমবার তা ফের বেড়ে যায়। ভাইরাসটিতে চীনের বাইরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছেন জাপানিরা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৬২ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩৬ জন ইয়োকোহামা বন্দরে যাত্রীবাহী জাহাজে আইসোলেশনে রয়েছেন। লাইনগুলোর অধিকাংশ ট্রেনের আসনই ফাঁকা ছিল গতকাল। সকালের ব্যস্ততম সময়ে অল্প কিছু যাত্রীর সবাই মাস্ক পরা ছিল। গণপরিবহনের বদলে মোটরসাইকেলে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে চীনের ফরেন এক্সচেঞ্জ প্রশাসনের কর্মী জিন ইয়াং জানান, তাদের অফিসের সব কর্মীকে মাস্ক পরার নির্দেশ ও মুখোমুখি বৈঠক এড়াতে বলা হয়েছে। অফিসের ক্যান্টিনও বন্ধ রাখা হয়েছে। চেন নামের আরেক বিমাকর্মী জানান, তাদের গণপরিবহন ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে। যদিও আমার বাড়ি শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে অনেক দূরে। আমি সাধারণত সাবওয়ে ট্রেনে যাওয়া-আসা করি, কিন্তু আজ সকালে ক্যাবে করে অফিসে আসতে ২০০ ইউয়ান খরচ করতে হয়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে এ পর্যন্ত দুজন চীনা নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের একজন ফিলিপাইন এবং অন্যজন হংকংয়ে মারা যান। করোনার বিস্তার ঠেকাতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শাসকরা শহরগুলো প্রায় অবরুদ্ধ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কলকারখানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে চীনের ব্যস্ত শহরগুলো ভুতুড়ে নগরে পরিণত হয়েছে। করোনা ঠেকাতে চীনের উহান শহরকে ১ কোটি ২৯ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে হংকংয়ের দাতব্য সংস্থা লি কা-শিং ফাউন্ডেশন। মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় গত ৩০ জানুয়ারি করোনা ভাইরাস নিয়ে বৈশি^ক জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা। ২০০২-০৩ সালে করোনা ভাইরাস পরিবারের আরেক সদস্য সার্স মহামারিতে মৃতের সংখ্যা ছিল ৭৭৪। সার্স সে সময় ছড়িয়ে পড়ে বিশে^র দুডজন দেশে, আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আট হাজার একশর কাছাকাছি। এর আগে ৫ জন ব্রিটিশ ভ্রমণকারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর স্থানীয় দুটি স্কুল বন্ধ করে দেয় ফ্রান্স। এ ছাড়া মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনামে একজন করে নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং জানান, বিভিন্ন অঞ্চলে যৌথ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং কঠোর প্রতিরোধের পদক্ষেপগুলো কার্যকর হওয়ায় গত রবিবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ শতাংশ হ্রাস পেলেও গতকাল সোমবার তা ফের বেড়ে যায়। ভাইরাসটিতে চীনের বাইরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছেন জাপানিরা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৬২ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩৬ জন ইয়োকোহামা বন্দরে যাত্রীবাহী জাহাজে আইসোলেশনে রয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App