×

সারাদেশ

ষাটোর্ধ্ব তিন নারীর ভিক্ষাবৃত্তি, জুটেনি বয়স্ক ভাতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০২:৪৭ পিএম

প্রতিনিধি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে প্রিয় বাংলাদেশ। এর বাইরে নয় হবিগঞ্জের বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ। উন্নয়নের ছোঁয়ায় দুই উপজেলারই বদলে গেছে দৃশ্যপট। শিক্ষাখ্যাতসহ সকল সেক্টরেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন। উপজেলায় বয়স্ক ও বিধবা ভাতা ভোগীর সংখ্যাও কম নয়।

তবে ২ নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল গাগড়াকোনা গ্রামের তিন ষাটোর্ধ্ব নারীর ভাগ্যে এখনো জোটেনি বয়স্ক ভাতা। অনেক স্বাবলম্বীরাও এ ভাতার আওতায় এসেছেন। ভাতাভোগীর নামে টাকা উত্তোলন করে লুপাট করছে একটি মহল।

আয়েশা বেগম, রাতিবুননেছা, লালই বিবি। তারা তিনজনই ভিক্ষুক। এই ভিক্ষুকরা জানান, ঘুষ না দেয়ায় তারা ভাতা থেকে বঞ্চিত। এই হলো মানবতা। তারা আরো জানান, এখন আর শরীর চলে না। কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মানুষের ধারে ধারে গিয়েও দুবেলা খাবার জুটছে না। ভাতার জন্য সরকারের সাহায্য চাচ্ছি।

প্রতিদিন ভোরবেলা ভিক্ষা করতে বেরিয়ে পড়েন বয়স্ক এই তিন নারী। তাদের মধ্যে দুই জনের স্বামী-পুত্র নেই। একজন চোখে আলো দেখেন নি। বয়সের ভারে ন্যুব্জ।

ভিক্ষুক আয়েশা বেগম জানান,আমি অন্ধ। তাঁর স্বামী ২০ বছর আগে মারা যান। একমাত্র কন্যা সন্তানকে বিয়ে দিলে সেও বিধবা হয়ে যায়।

রাতিবুননেছা জানান, তাঁর স্বামীর বয়স সত্তুর। তিনি কোন কাজ কর্ম করতে পারেন না। এক কন্যা সন্তান আছে তাদের। কন্যার বিয়েও হয়েছিল। তার স্বামী অকালেই মারা যায়।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রধান জানান, তিন নারী অবশ্যই ভাতা পাবেন। স্বচ্ছতার জন্য আগামীতে মাইকিং করে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ভাতাভোগী সনাক্ত করা হবে। প্রকৃত যোগ্যরাই সরকারের ভাতার আওতায় আসবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App