×

মুক্তচিন্তা

দুর্নীতি বন্ধে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও মতামত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:০৬ পিএম

দুর্নীতি আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় হতাশার একটি জায়গা। উন্নয়ন ব্যাহত হওয়া থেকে শুরু করে মানবিক বিপর্যয়ের বড় কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই দুর্নীতিই। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন একদিকে আরেক দিকে দুর্নীতির অর্থকে দাঁড় করলে দেখা যাবে দুর্নীতি করে উপার্জিত টাকার একটি বড় অংশ জুড়ে থাকবে! সরকারের প্রচণ্ড রকমের সদিচ্ছা থাকার পরও দুর্নীতির কারণেই ব্যাহত মানবসেবা ও মানবিক অধিকারের জায়গাগুলোও। এমনকি আইনের অধিকার প্রাপ্তি ও শিক্ষাও পিছিয়ে পড়ছে এই দুর্নীতিগ্রস্ততার কারণে। একদিকে আইন প্রয়োগ অন্যদিকে সচেতনতার কাজ চালিয়েই দুর্নীতি বন্ধে বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সচেতনতা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতি বন্ধে কাজের অংশ হিসেবে সারাদেশের মতো শ্রীপুরের বিভিন্ন স্কুলে দুর্নীতিবিরোধী রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয় এবং সততা সংঘ ও সততা স্টোর পরিচালনা করা হয়। এতে সন্তানরা দুর্নীতিবিরোধী মতামত দিতে পারে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজেদের দাঁড় করানোর চর্চা বাড়াতে পারে। জানুয়ারি মাসে শ্রীপুরের প্রায় শতাধিক স্কুলে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো। ছেলেমেয়েদের মধ্যে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে তা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। কিন্তু এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক ও শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের যে সময়, শ্রম লগ্নি করছে তা কি আমরা সত্যিই বাস্তবে দেখতে পারব? অর্থাৎ আমরা কি সৎ মানুষ হিসেবে এদের পাব? এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপসহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা দেখছি দুর্নীতিবিরোধী এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফলে শিশু-কিশোররা যে ধরনের বোধ শিখছে, স্লোগান শুনছে এতে তারা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। তারা এখন ঘুষ দিয়ে চাকরি নিতেও আর চাইছে না। তিনি বলেন, কোনো স্কুল যদি প্রদত্ত অর্থ পুরোপুরি ব্যয় না করে তবে তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষা অধিদপ্তর ও দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্তপূর্বক পদক্ষেপ নেবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্নীতি থেকে, দুর্নীতির আঁচড় থেকে বাইরে রাখার জন্য তাদের নৈতিক শিক্ষা আরো বাড়াতে হবে। তবে দুর্নীতিবিরোধী যে কোনো অনুষ্ঠানেই অতিথি হিসেবে দুর্নীতিবাজদের বয়কট করা প্রয়োজন। কেউ যদি দুর্নীতিবাজ কাউকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানায় তবে দুর্নীতি আরো বেড়েই চলবে। দুর্নীতি দমন কমিশন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা স্পষ্ট করবে এটাই প্রত্যাশা। কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য উপহার ক্রয়ে যাতে কম অর্থ ব্যয় না করে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, যদি দুর্নীতিবিরোধী কাজে অর্থ অন্য কোনো ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যয় হয় এটাও দুর্নীতি। একটি প্রতিযোগিতার জন্য পুরো ব্যয় না করে অনেক প্রতিযোগিতাও চালানো যেতে পারে বলে মনে করি। সুতরাং দুর্নীতি বন্ধে এ ধরনের কাজগুলোতে আরো স্বচ্ছতা আনয়নে দুদক কাজ করবে এটাই প্রত্যাশা। তবেই দুর্নীতি দমন কমিশনের সঠিক লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সক্ষম হবে। সাঈদ চৌধুরী শ্রীপুর, গাজীপুর। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App