×

সাহিত্য

সাতক্ষীরার ভূমিহীনদের উপাখ্যান ‘জায়েদামঙ্গল’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৩:১৭ পিএম

সাতক্ষীরার ভূমিহীনদের উপাখ্যান ‘জায়েদামঙ্গল’

লেখক ও বইয়ের প্রচ্ছদ।

সাতক্ষীরার ভূমিহীনদের উপাখ্যান ‘জায়েদামঙ্গল’

লেখক ও বইয়ের প্রচ্ছদ।

পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ প্রণয়নের পর বহু জমি খাস হিসাবে চিহ্নিত হয়। তৎকালীন যশোহর জেলার চতুর্থ মহাকুমা সাতক্ষীরার দেবহাটা ও কালীগঞ্জ অঞ্চলও এর ব্যতিক্রম ছিল না। বাবুরাবাদ, ঢেবুখালি, নোড়ার চারকুনি, কামিনীবসু, কালাবাড়িয়া, কাঠমহল, ভাংগানমারী ও ঝায়ামারী এলাকায় চিহ্নিত হয় ৩১৭৮ একর খাস জমি।

১৯৫৫ সালে গঠিত হয় দেবীশহর এগ্রি এন্ড ফিস ফার্মিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড সংক্ষেপে দেবীশহর সমবায় সমিতি। এই সমিতির নামে ঐ খাস জমি মূল মালিক অনীল স্বর্ণকার ভোগদখল করতে থাকেন। পরে সরকারের সাথে শুরু হয় মামলা। ইতোমধ্যে অনীল স্বর্ণকার ষড়যন্ত্রমূলক খুনের শিকার হলে সমিতির হাল ধরেন কর্মচারী মণি ঠাকুর। এই মনি ঠাকুর গংরাই ভূমিহীনদের বঞ্চিত করতে চাষযোগ্য কৃষি জমির স্থলে বিশেষ ‘জলমহল’ ঘোষণা করিয়ে ভোগ-দখলের রাজত্ব কায়েমে কখনও সফল কখনও ব্যর্থ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। ফলে জেল-জুলুম, অমানুষিক অত্যাচার-নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ, পাশবিকতাসহ নানাবিধ বিপর্যয়ই যেন হয়ে পড়ে ভূমিহীনদের জীবনের নিত্য অনুসঙ্গ।

কালের নিষ্ঠুর চক্রাবর্তে সবশেষ ১৯৯৮ সালে ১২শ’ ভূমিহীন পরিবারের ওপর নেমে আসে এক মর্মন্তুদ কালরাত্রী। প্রতিরোধ সংগ্রামে সম্মুখভাবে চলে আসে জায়েদা খাতুন। ২৭ জুলাই পুলিশের বর্বর বুলেটের সামনে বুক পেতে দেন জায়েদা। সাথে আরও দুটি নিষ্পাপ শিশুসহ শহীদ হন তিনি।

ভূমিহীন জায়েদাদের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, স্বপ্ন-সংগ্রাম ও আশা-আকাঙ্ক্ষার বিবিধ বয়ান নিয়ে কবি, প্রাবন্ধিক ও সুসাহিত্যিক গাজী আজিজুর রহমান সাতক্ষীরার আঞ্চলিক ভাষায় নির্মাণ করেছেন উপন্যাস জায়েদামঙ্গল। পাঠক যার পরতে পরতে নবরূপে আবিষ্কার করবেন সুবিধাবঞ্চিত ঐ জনপদের রোমাঞ্চকর, দুঃসহ, অন্ধকারাছন্ন করুণ কাহিনি।

প্রচ্ছদ করেছেন রাশিদুল হাসান রাশেদ। ২৫% কম মূল্যে মাত্র ১২০ টাকায় বইটি পাবেন উদ্যানে নওরোজ কিতাবিস্তানে। স্টল: নম্বর ৩৬৭-৩৬৮-৩৬৯।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App