×

খেলা

সবার মুখে মুখে জয় বন্দনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:২৪ এএম

সবার মুখে মুখে জয় বন্দনা

মাহমুদুল হাসান।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হেসে-খেলে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট পায় বাংলাদেশের যুবারা। যা ক্রিকেট পাগল জাতির জন্য অনেক বড় পাওনা। কারণ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির যে কোনো প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই দুই দলের মধ্যে চিন্তা একটু বেশি থাকবে। তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে চিন্তার কোনো ছাপই দেখা যায়নি। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সবদিকেই তারা ছিলেন নির্ভার। সেমির ম্যাচে যেখানে বাংলাদেশের বোলারদের গতি ও ঘূর্ণিতে কাবু হয়েছে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা সেখানে উল্টো ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়। দেখে-শুনে খেলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১২৭ বল খেলে ঠিক ১০০ রান করে আউট হন তিনি। সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরের বলেই কিউই অধিনায়ক তাসখফের বলে স্টেইট চার মারতে হিট করেন তিনি। কিন্তু তাসখফ সেই বলটি দারুণভাবে লুফে নেন। তিনি আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশের জয়ের ভীত তৈরি করে দেন।

মাহমুদুল হাসান জয় এই ম্যাচে সেঞ্চুরি করার মাধ্যমে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অনন্য এক রেকর্ডের মালিক বনে যান। তিনি প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন যে কিনা ভারতীয় ব্যাটসম্যান নয়। যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আগে যতগুলো সেঞ্চুরি হয়েছে তার সবগুলোই এসেছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে। যুব বিশ্বকাপের এটি ১৩তম আসর। আগের ১২ আসরে কেউ না পারলেও ১৩তম আসরে এসে এটি করে দেখালেন জয়। এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ১৫তম স্থানে রয়েছেন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচটির আগের ৮টি ম্যাচে তার এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৮। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন হয় নিউজিল্যান্ড তখন যেন তার ব্যাট খুব ভালো করেই জ্বলে উঠে। তিন মাস আগে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে আসে টাইগার যুবারা। সেই দলের সঙ্গে ছিলেন জয়। সিরিজে তিনি এক ম্যাচে ৯৯ ও অপর ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে পেয়ে আবার জ্বলে উঠেন তিনি। এর ফলে সেমিফাইনালের মতো উত্তেজনাকর ম্যাচে জয়ের ব্যাটে খুব সহজেই জয় তুলে নেয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এক সাক্ষাৎকারে জয় জানিয়েছিলেন তার প্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম হলেন সাকিব আল হাসান ও ভারতীয় কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড়। রাহুলকে বলা হয় ক্রিকেটের ওয়াল। ভারতীয় এই কিংবদন্তির মতো জয়ও চান বাংলাদেশের ওয়াল হতে। তবে বাংলাদেশ দলের মধ্যে তাকে সবাই মিস্টার ডিপেন্ডবল বলে ডাকে। এই মিস্টার ডিপেন্ডবল ডাকার প্রমাণ বড় জায়গায় দিয়েছেন তিনি।

এদিকে মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ফাইনালে উঠা বাংলাদেশও ২০০৪ সালের পর নতুন দল হিসেবে যুব বিশ^কাপের ফাইনালে উঠেছে। নয়তো ২০০৪ সালের পর আগে ফাইনাল খেলা দলগুলো ঘুুরে ফিরে বারবার ফাইনাল খেলছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App