×

সাহিত্য

বইয়ের কোনো সীমান্ত নেই: সেলিনা হোসেন

Icon

nakib

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৫৭ পিএম

বইয়ের কোনো সীমান্ত নেই: সেলিনা হোসেন

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন

বইয়ের কোনো সীমান্ত নেই। সীমান্ত ছাড়িয়ে বই পৌঁছে যায় মানুষের কাছে। এশিয়ার মানুষ হয়ে জানতে পারি আফ্রিকার সংস্কৃতি ও জীবনযাপনের রূপরেখা। জানতে পারি ইউরোপ-আমেরিকা-ল্যাটিন আমেরিকার জীবন। বই মানবজাতির অক্ষয় সাধনা। আর অমর একুশে গ্রন্থমেলা তো আমাদের প্রাণের মেলা। এই মেলাকে সামনে রেখেই অধিকাংশ লেখক তাদের লেখা তৈরি করেন। তাছাড়া প্রবীণের সঙ্গে নতুন অনেক লেখকেরও আবির্ভাব হয়। এই মেলা পাঠক সৃষ্টি করে পাঠক ধরে রাখে। ডিজিটাল এই যুগেও বইমেলার আকর্ষণে পাঠকরা ছুটে আসেন, নতুন বই ছুঁয়ে দেখেন, কেনেন। নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হন তারা। এই মেলা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষে অনেক বড় ভূমিকা রেখে আসছে। একজন লেখক হিসেবে বইমেলা আমার কাছে আপন অস্তিত্বের মতোই একটি বিষয়। বইমেলা প্রসঙ্গে ভোরের কাগজের এক প্রশ্নের জবাবে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এভাবেই বই এবং মেলা প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, তরুণ এবং শিশুদের বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করতেও এ মেলার বড় ভূমিকা আছে। মেলায় চালু করা হয়েছে শিশুপ্রহর, অর্থাৎ শিশুদের বইয়ের জন্য আলাদা চত্বর। সেলিনা হোসেন বলেন, একাডেমিতে ৩৪ বছর চাকরি করে অমর একুশে গ্রন্থমেলা আমি দেখেছি খুব কাছে থেকে। এর চরিত্র শুধু বই প্রকাশ এবং বিক্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বইমেলা ভাষা আন্দোলনের শহীদের রক্তে প্রতিষ্ঠিত বাংলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত এবং একুশে ফেব্রুয়ারির উপলক্ষ হলেও মাস জুড়ে বইমেলার আবেদন জাতীয় মননের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই মেলাকে আস্তে আস্তে বড় হতে দেখেছি। আশির দশকে মেলার বড় পরিবর্তন হয়। ১৯৮৪ সালে বইমেলার আনুষ্ঠানিক নাম রাখা হয় ‘অমর একুশে বইমেলা।’ তথ্য প্রযুক্তির এই অস্থির সময়েও বইয়ের ভূমিকা হ্রাস পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে কি না এর উত্তরে এই কথাশিল্পী বলেন, তথ্য প্রযুক্তির এই সময়েও বলতে চাই বইয়ের বিকল্প নেই। বড় করে শ্বাস নিলে একুশের চেতনায় প্লাবিত হয়ে থাকা মেলা প্রাঙ্গণ জাতির ঐতিহ্যের সমৃদ্ধ জায়গা। সেলিনা হোসেন জানান, বাংলা একাডেমি রাত-দিন কাজ করছে এই মেলাকে সফল করতে। এর নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা, সৌন্দর্য সবদিক নিয়ে কাজ করছেন তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App