পর্যটনে ধস নামালো করোনা ভাইরাস
nakib
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:২৪ পিএম
করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্ক পরিহিত চীনা নাগরিক
গত দুই দশক ধরে চীনের অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো। আর চীনের পর্যটন অনেকটা এডভেঞ্চারধর্মি। দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক এশিয়ান, ইউরোপিয় ও আমেরিকান পর্যটকদের ঢল নেমেছিল। তবে করোনা ভাইরাসের উপদ্রবের ফলে অনেক পর্যটক তাদের ভ্রমণ বাতিল করেছে এবং অনেক দেশ চীনের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অন্যদিকে বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা দেশটিতে ফ্লাইট পরিচালনা বাতিল করে দিয়েছে।
এর আগে ২০০২ ও ২০০৪ সালে সার্স ভাইরাসের আক্রমণের সময় চীনে জিডিপিতে পর্যটনের অবদান ২৫ শতাংশ কমে যায়। তখন হংকংয়ে জিডিপিতে পর্যটনের অবদান ৪১ শতাংশ হ্রাস পায়। সিঙ্গাপুরের পর্যটনেও ২৫% প্রবৃদ্ধি কমে যায়। এবারও করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে পর্যটনে ধ্বংস নেমেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে চীনের নাগরিকরা আমেরিকার সাথে বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে বেশ কয়েকটি এশিয়ার দেশে বেশি করে ভ্রমণ করেছেলেন। তবে এবার সে সুযোগও ছিল তা চীনের নাগরিকদের।
থাইল্যান্ড এবার প্রায় ১০৯.৩ বিলিয়ন থাই বাট লোকসানেরমুকে পড়ছে করোনা ভাইরাসের কারণে। দেশটির অভ্যন্তরিণ পর্যটন শিল্পও হুমকির মুখে পড়েছে। জাসুয়ারির ২৫ তারিখ থেকে শুরু হওয়া চীনের লোনার নববর্ষ উৎযাপনের সময় থেকে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেম পর্যটনে এ লোকসানের সম্মুখিন হয়। ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে করোনা ভাইরাসের ফলে দেশটির ৪ বিলিয়ন বাণিজ্যিক ক্ষতি বা লোকসান হয়েছে।
অন্যদিকে অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে চীনের পর্যটন ক্ষতির ফলে ২০২০ সালের প্রথম ৪ মাসের বিশ্ব সেবা খাতে আয় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর চীনের সাথে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বড় ধরণের লোকসানের হিসেব কষছে। সব মিলিয়ে বিশ্ব পর্যটন শিল্পে বড় ধরনের একটি বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।