×

মুক্তচিন্তা

নতুন বাজার খুঁজতে হবে এখন থেকেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:১৬ পিএম

চীনের করোনা ভাইরাসের ব্যাপক প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে। দেশের মোট আমদানির প্রায় ২৬ শতাংশই আসে চীন থেকে। রপ্তানিও কম নয়। চলমান পরিস্থিতিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের উপক্রম হওয়ায় চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। এতে উদ্বিগ্ন সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে আগাম প্রস্তুতি রাখতে হবে। অন্যথায় আমরা সংকটের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানা গেছে, করোনা ভাইরাসে চীনে গত বৃহস্পতিবার আরো ৭৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৬৩ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বৈশ্বিক পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি করছে বাংলাদেশ। গত আট বছরে চীন থেকে আমদানি বেড়েছে ৭৪৪ কোটি ডলার। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি বেড়েছে ৪৩ কোটি ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮৩ কোটি ১২ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করা হয়েছে ১ হাজার ৩৮৫ কোটি ১১ লাখ ডলারের পণ্য। এর মধ্যে বস্ত্র খাতের সুতা ও কাপড় আমদানি হয়েছে ৪৩০ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের। আর মেশিনারি ও ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি আমদানি হয়েছে ৩৬১ কোটি ১৪ লাখ ডলারের। এছাড়া রাসায়নিক, প্লাস্টিক ও রাবার জাতীয় পণ্য, যানবাহন ও জাহাজের যন্ত্রপাতিসহ ১৮১ ধরনের বিভিন্ন পণ্য আমদানি করা হয় চীন থেকে। অন্যদিকে পোশাক, পাট, প্লাস্টিক ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিপণ্য, আসবাবপত্রসহ নানা পণ্য রপ্তানি করা হয়। রপ্তানি বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য নষ্ট হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন উদ্যোক্তা। এখনই আমদানি-রপ্তানির জন্য বিকল্প রাষ্ট্র খুঁজতে হবে। এর প্রভাব মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবতে হবে। নিশ্চয়ই এই বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওয়াকিবহাল আছেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বাণিজ্য সচিব জরুরি বৈঠক করেছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে করোনা ভাইরাসের প্রভাবের বিষয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে অংশীজনদের কাছে একটি প্রতিবেদন চেয়েছেন। অংশীজনদের পক্ষে এফবিসিসিআইর প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে সরকার। আশা করছি সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগী হবেন। আদা, রসুনসহ বিভিন্ন মসলা জাতীয় পণ্য আমদানি করা হয় চীন থেকে। যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ থাকায় এসব পণ্যের সরবরাহ কমে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব পণ্যেও দাম বাড়ার খবরও আসছে। অন্যান্য পণ্যেও প্রভাব পড়ছে। অতএব আপৎকালীন সময়ে নতুন বাজার খুঁজে বের করার বিষয়ে আগাম ভাবতে হবে আমাদের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App