×

খেলা

ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৩১ পিএম

ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

ফাইনালে উঠার পর আনন্দ উদযাপনে ব্যস্ত টাইগার যুবারা

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ উপভোগ করেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পচেফস্ট্রমে শরিফুল-শামিমদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৮ উইকেটে ২১১ রানের বেশি তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। কিউইদের ২১২ রানের জবাবে টাইগার যুবারা ৪৪.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান সংগ্রহ করে। ফলে ৬ উইকেটের সহজ জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে আকবররা। আগামী ৯ ফ্রেবুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে লড়বে বাংলাদেশ।

কিউইদের দেয়া সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ওপেনিং জুটিতে ২৩ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান। ষষ্ঠ ওভারে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৩ রান। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনও ক্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। দলীয় ৩২ রানে ফিরে যান তিনি। পারভেজ করেন ১৪ রান। তবে শুরু ধাক্কা সামলে লড়াই শুরু করেন মাহমুদুল হাসান জয় ও তৌহিদ হৃদয়। তবে ব্যাক্তিগত ৪০ রানে তৌহিদ হৃদয় আউট হলেও উইকেট কামড়ে ক্রিজে লড়াই করেন মাহমুদুল হাসান জয়। তিনি সাজঘরে ফেরার আগে বাংলাদেশ দলকে জয়ে ভিত গড়ে দেন। মাহমুদুল হাসান জয় ১২৭ বলে ১০০ রান করেন।

এর আগে টস জিতে কিউই যুবাদের ব্যাটিংয়ের পাঠায় বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি। অধিনায়কের এমন সিদ্ধান্ত যথার্থ প্রমাণ করতে শুরু থেকে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখেন বাংলাদেশের বোলাররা।

অফস্পিনার শামীম হোসেন বল হাতে নিয়েই পান সাফল্য। তার ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে প্রথম স্লিপে তানজিদ হাসানের ক্যাচ হন ওপেনার রিস মারিও। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেট খুইয়ে কিউই যুবারা করে ২৬ রান। তারা দ্বিতীয় উইকেটটিও হারায় বাংলাদেশের ঘূর্ণি ফাঁদে পড়ে। এবার ওলি হোয়াইটকে (১৮) উইকেটরক্ষক আকবরের ক্যাচ বানান বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান। ২১তম ওভারে এসে আরও একটি উইকেট তুলে নেন শামীম হোসেন।

দেখেশুনে খেলতে থাকা ফারগুস লেলম্যানকে বোকা বানিয়ে শর্ট মিডউইকেটে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন জয়। অধিনায়ক জেসে টাসকফ ব্যাক্তিগত ১০ রানে আউট হলে দলীয় ৭৪ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট খুইয়ে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তবে পঞ্চম উইকেটে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন নিকোল লিডস্টোন আর বেকহ্যাম হুইলার গ্রিনল। উইকেট কামড়ে ক্রিজে লড়াই করছিল তারা দুজন। এই জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। তিনি লিডস্টোনকে এলবি ডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরের পথ দেখান। আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দিতে দেরি করেননি। ব্যক্তিগত ১ রানে কুইন সানডেকে বোল্ড করেন হাসান মুরাদ। এরপর শরিফুলের কাটারে বোল্ড হন ক্রিশ্চিয়ান ক্লার্ক। তবে এত চাপের মধ্যেও বেকহ্যাম হুইলার দুর্দান্ত খেলে হাফসেঞ্চুরি করেন। তিনি ৮৩ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৭৫ রানে।

বাংলাদেশের পক্ষে ৩টি উইকেট শিকার করেন পেসার শরিফুল ইসলাম। দুটি করে উইকেট নেন দুই স্পিনার-হাসান মুরাদ আর শামীম

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App