×

সারাদেশ

পর্যটন শিল্পে এক নতুন দ্বার ভোলার তারুয়া সমুদ্রসৈকত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০১:২৬ পিএম

পর্যটন শিল্পে এক নতুন দ্বার ভোলার তারুয়া সমুদ্রসৈকত

ভোলার তারুয়া সমুদ্রসৈকত

পর্যটন শিল্পে এক নতুন দ্বার ভোলার তারুয়া সমুদ্রসৈকত
পর্যটন শিল্পে এক নতুন দ্বার ভোলার তারুয়া সমুদ্রসৈকত
পর্যটন শিল্পে এক নতুন দ্বার ভোলার তারুয়া সমুদ্রসৈকত
পর্যটন শিল্পে এক নতুন দ্বার ভোলার তারুয়া সমুদ্রসৈকত
ভোলার জেলার চরফ্যাশন উপজেলার অদূরবর্তী পলিমাটির আস্তরনে গড়ে উঠা নৈসর্গিক লিলা ভূমি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় এক বিনোদন কেন্দ্র তারুয়া সমুদ্র সৈকত। সবুজ বেষ্টনীতে ঘেরা গহীন অরণ্যর মধ্যে পাখিদের অভয়ারণ্য, লাখ লাখ লাল কাঁকড়ার বিচরণে মনকাড়া দৃশ্য ভোলার ঢালচরের তারুয়া সমুদ্র সৈকত। প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্রের পাশাপাশি পাখিদের অভয়ারণ্য রক্ষায় এ চরটিতে পর্যটকের ভ্রমনে সরকারি কোন নির্দেশণা নেই। নেই কোন বিধি-নিষেধ। যত্রতত্র অবস্থান করায় কমে গেছে লাল কাকঁড়া। পাখিরাও স্বস্তিতে বিচরণ করতে পারছে না চরটিতে। ফলে অস্কুরেই প্রকৃতির আরেক সৌন্দর্য তারুয়া সমুদ্র সৈকত নৈসর্গিক দৃশ্য হতে বঞ্চিত হবে পুরো বাংলাদেশের মানুষ। পর্যটকরা চরটিতে নিজেদের মত সৌন্দর্য উপভোগ করলেও ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। যত্রতত্র পর্যটকদের অবস্থানের কারণে হুমকির মুখে লাল কাঁকড়া। পাখিরা নির্বিঘ্নে বিচরণ কিংবা অবস্থান করতে না পারায় তারুয়া সৈকতে অপূর্ব দৃশ্য এখন হুমকির মুখে। ১৯৬৫সাল থেকে জেগে উঠা চরফ্যাশন শহর থেকে প্রায় ৩৫কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্ন এ চরটি ঢালচর ভেঙ্গে পুর্ব ঢালচর হিসাবে পরিচিত হলেও এটির তারুয়া সমুদ্র সৈকত নাম করণ করা হয়।চরটি সৌন্দর্য্য ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পরলে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যটক দর্শনার্থীদের ভ্রমনে নিয়ে যেতে শুরু করেন। ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, সারা বছরেরই পর্যটকরা তারুয়া সমুদ্র সৈকত যায়। শীত শুরু হলে তো পর্যটদের ভিরে মুখোরিত থাকে ওই চরটিতে। আমি নিরাপত্তার স্বার্থে ওই স্থানে একটি ঘর করে একজন বেতন ভুক্ত লোক রেখে পর্যটকদের থাকার সামান্যতম সুযোগ সৃষ্টি করছি। পর্যটকরা যাতে এখানে এসে ভয় না পায়। সরকারের পক্ষ থেকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা দিয়ে প্রশাসনের ব্যবস্থা করা একান্ত দরকার। দেশ-দেশান্তর থেকে এই তারুয়া সৈকতে পর্যটকেরা ঘুরতে আসে। চারদিকে যতদুর চোখ যায় শুধু সাগরের অথৈই জলরাশি। তারই মাঝখানে নয়ন ভোলানো এই বিশাল চর। লাল কাঁকড়ার চঞ্চলতা,পাখির জাঁক, সাগরের ঢেউ এক স্মৃতিময় মনকাড়া সুন্দর দৃশ্য। যেন কুয়াকাটা ও কক্সবাজারকে হার মানায়। চেয়ারম্যান সালাম বলেন, ১ থেকে দেড় কিলোমিটার নদীর পর বিস্তিত এলাকা নিয়ে আরেকটি চর জেগে উঠেছে। সকল চরগুলো ফরেস্টরা দখল করে রাখছে। হাজার হাজার ভাঙ্গন কবলিত মানুষগুলো ওই চরে বসবাস করতে পারে। সরকার যদি ভোলার এই তারুয়া সৈকত নিয়ে পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে তাহলে একদিকে যেমন দেশী -বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করবে অন্য দিকে এই এলাকার অর্থনীতির উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশা করছেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App