×

সারাদেশ

মাছ ধরার প্রতিটি নৌকায় তিন শিশু জেলে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৩:৪৯ পিএম

মাছ ধরার প্রতিটি নৌকায় তিন শিশু জেলে

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বেড়েই চলেছে শিশু জেলেদের সংখ্যা। এসব শিশুরা নদী ও সাগরে মৎস শিকারে যাচ্ছে জেলেদের সঙ্গে। ওখানে তারা জাল টানা, জাল থেকে মাছ বাছাই করা ও মাছ প্রক্রিয়াজাত করণের কাজ করে থাকে। শিশুদের নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা জানান, শিশু শ্রমের প্রধান কারণ হচ্ছে দারিদ্র। নৌকায় শিশুরা কাজ করতে গিয়ে নানা রকমের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। জেলে মো. সিদ্দিক মিয়া বলেন, নতুন স্লুইজ এলাকায় প্রায় দুইশত ৫০টি ট্রলার রয়েছে। প্রতিটি ট্রলারেই দুই থেকে তিন জন করে শিশু জেলে রয়েছে।

উপজেলা মৎস কর্মকর্তার দেয়া তথ্য মতে, উপজেলাটি নদী সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এখানকার ৮০ ভাগ মানুষের পেশা হচ্ছে মৎস শিকার করা। এ অঞ্চলে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার রয়েছে আট হাজার সাতশত। জেলের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ৪১ হাজার। এসব জেলেদের নৌকা ও ট্রলারে শিশু জেলের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের মতো। ওই এলাকার ট্রলার মালিক মাহাবুব বলেন, প্রতিটি ট্রলারে প্রায় সাত থেকে আটশত জেলে শিশু রয়েছে যাদের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের মতো। এরা প্রতিদিন নদী ও সাগরে যাচ্ছে। অনেক নৌকা মহাজনরা শিশুদের সংসারের অভাবের সুযোগ নিয়ে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকায় কিনে দিচ্ছে।

উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের শিশু জেলে মো. আজাদ (১২) ও মো. সিদ্দিকের (১৫) সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা পাঁচ হাজার টাকার দাদনে জেলেদের সঙ্গে মৎস শিকারে যাচ্ছে নদী ও সাগরে।

এনজিও সংস্থা কোস্ট ট্রাষ্টের জেলা প্রকল্প সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান বলেন, আমরা বিভিন্ন সেমিনারে নৌকার মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। যেন শিশুদের নৌকায় না নেয়া হয়। তাদের দেয়া ওয়াদা তারা রাখেন না।

শিশু শ্রম বন্ধে প্রশাসনের কোনো কার্যকরী উদ্যোগ না থাকায় দিনদিন শিশু শ্রমের মাত্রা বেড়েই চলছে বলে জানান কিশোর কিশোরি ক্লাবের একাধিক সদস্য। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আমরা বিভিন্ন এলাকায় শিশু শ্রম বন্ধে অভিযান চালালেও এটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কিছুদিন পর দেখা যাচ্ছে এসব শিশুরা অন্য কোনো পেশায় জড়িয়ে পড়ছে। তারপরও আমরা এ বিষয়টি নজরদারিতে আনবো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App