×

জাতীয়

বিরোধী দলের ঘোরতর আপত্তি সত্ত্বেও বিল পাস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৭:৩৭ পিএম

বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপি সংসদ সদস্যদের জোর আপত্তির মধ্যে ‘স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফিন্যান্সিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোর তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন-২০২০’ সংসদে পাস হয়েছে। ওই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধীতা করেন জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, মো. মুজিবুল হক ও ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং বিএনপি’র মো. হারুনুর রশীদ ও ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তারা বিলটি প্রত্যাহার এবং জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। তারা বলেন, ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলো খালি হয়েছে। পূঁজিবাজারে ধস নেমেছে। আর্থিক খাতে অবাধ লুটপাট চলছে। প্রস্তাবটি আইনটি পাস হলে ব্যাংকখাতের মতো স্বায়ত্তশাসিতসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও দেউলিয়া হয়ে যাবে। কারণ তালিকাভ‚ক্ত ৬১টি প্রতিষ্ঠান নয়, নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান যুক্ত করার বিধান রাখা হয়েছে। তারা দেশের ব্যাংক খাত, অর্থনৈতিক সমস্থাসমূহ, শেয়ারবাজারে ধ্বস, বিদেশে অর্থ পাচারের মত বিষয় রোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের তীব্র সমালোচনা করেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী কিছুটা অভিমান বশত বিরোধীদের সমালোচনাও করেন। কিন্তু তার পরেও বিলটি পাশ হওয়ার প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যারা। বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) মাগরিবের বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কয়েকজন এবং বিএনপির দু’জন এর তুমুল বিরোধিতা করেন। তারা বিলটি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। এমনকি সংশোধনী প্রস্তাবও দেন। কিন্তু তারপরও বিল প্রত্যাহার না করায় পরে কেউ সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় কোনো সংশোধনী দেননি। বিলটি পাসের সময় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, আমরা সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েও আলোচনা করিনি। আর এ কালো আইন পাসের প্রতিবাদে এবং যেহেতু জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি, তাই আমরা সংসদ থেকে ওয়াকআইট করলাম। যদিও তখন মাগরিবের বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। বিএনপির মাত্র তিনজন হারুনুর রশীদ, জাহিদুর রহমান ও রুমীন ফারহানা ওয়াকআউট করেন। তবে জাপার কেউ ওয়াকআউট করেননি। বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপনকালে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিপুল পরিমান অর্থের সংস্থান প্রয়োজন। যা বর্তমান সংগৃহিত রাজস্ব দ্বারা মেটানো দূরূহ হওয়ায় সংস্থা সমূহের তহবিলে রক্ষিত উদ্ধৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের মাধ্যমে বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত উন্নত দেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই বিলটি আনা হয়েছে। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App