×

রাজনীতি

৮ ফেব্রুয়ারি ঐক্যফ্রন্টের প্রতিবাদ সমাবেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৩:১৬ পিএম

৮ ফেব্রুয়ারি ঐক্যফ্রন্টের প্রতিবাদ সমাবেশ

ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্ট্রিয়ারিং কমিটির বৈঠক। ছবি: ভোরের কাগজ।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুই বছর কারাবাসের প্রতিবাদে ঢাকায় সমাবেশ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্ট্রিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দুই বছর কারাবাসের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে ঐক্যফ্রন্ট। সকাল ১১টা থেকে এ সমাবেশ শুরু হবে। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।

তিনি বলেন, সদ্যসমাপ্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর যুবসমাজ ও জনগণ অনাস্থা প্রকাশ করেছে। নির্বাচিত মেয়ররা মাত্র ৫-৭ শতাংশ মানুষের রায় পেয়েছে । বাকি ফলাফল ইভিএমের জাল ভোট। বর্তমান সরকারের আমলে গণতন্ত্র আইনের শাসন ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে । সরকার চায় ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না যাক। সরকার ভোটারদের ভয় পায় । তাই সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে । জনগণ ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার অর্থ তারা মনে করে তাদের ভোটে এই সরকারের পরিবর্তন হবে না। তাদের জন্য এটা একটা অশনি সংকেত।

ড. কামাল বলেন, সরকার দায়িত্বহীনভাবে সংবিধানের পরিপন্থি কাজ করছে। নির্বাচনের প্রক্রিয়া পদ্ধতিতে ধ্বংস করেছে। যার ফলে আজকে দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা এ কথাগুলো জনগণকে বলতে থাকবো, বলার দিক থেকে আমাদের কোনো ধরণের কমতি নেই। আমরা বলতে থাকবো মানুষকে জানাতে থাকবো। মানুষ একদিন দাঁড়িয়ে বলবে তারা যে কাজগুলো করছে সেটা সঠিক নয়। মানুষ একদম অসহ্য হয়ে গেছে। স্বৈরাচারকে মানুষ কখনোই গ্রহণ করেনি। এখনো করবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা পুরো নির্বাচনে আমাদের সঙ্গে ছিলেন, এজন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।তিন সপ্তাহ পর্যন্ত আমাদের যে ভোটের মাঠে ক্যাম্পেইন ছিল আপনারা সর্বাত্তক আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। জনগণ আমাদের সাথে ছিল না এ ধরণের বক্তব্য সঠিক নয়। আপনাদের ক্যামেরা প্রকাশ করেছে, প্রমাণ হয়েছে জনগণ আমাদের সাথে কীভাবে মাঠে ছিল। উত্তরে বলেন কিংবা পুরান ঢাকায় বলেন সবখানে মানুষ আমাদের সঙ্গে ছিল ।আমরা যখন জনগণের কাছে গিয়েছি তখন হাজার হাজার মানুষ আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে। আমাদের দু’জন প্রার্থীর সঙ্গে জনগণ একাত্মতা পোষণ করেছে। জনগণ আমাদের সঙ্গে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সাথে যুক্ত ছিলো। মানুষের জনস্রোতে প্রমাণ হয়েছে আসলে জনগণ কাকে চায়।

আসম আবদুর রব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ধৈর্য সহকারে রাজনৈতিক দলকে দৃঢ়তার সঙ্গে আন্দোলনে নামবে। সময় বলে দেবে কখন কি করতে হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাই করবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি। জনগণের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এখন থেকে আমরা রাস্তায় পথে ঘাটে মিটিং-মিছিল সব ধরণের সভা কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মানুষ আন্দোলন নিয়ে যে আশার কথা বলছে সেটার প্রতিফলন ঘটবে। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী ও গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App