৩৪তম জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু আজ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৪৯ এএম
দেশবিদেশের বিভিন্ন ভাষাভাষী কবিদের অংশগ্রহণে আজ সরব হয়ে উঠবে ৩৪তম জাতীয় কবিতা উৎসব প্রাঙ্গণ। ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’- এই মর্মবাণীর মধ্য দিয়ে আয়োজিত দুদিনব্যাপী কবিতা উৎসবে কবিতা পাঠ, নিবেদিত কবিতা পাঠ, সেমিনার, আবৃত্তি ও সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে এই স্লোগানকে মুক্ত করে তোলার চেষ্টা করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন বরেণ্য কবি মহাদেব সাহা।
উৎসবে তিনজন ভাষাসংগ্রামী প্রবীণ কবিকে জাতীয় কবিতা পরিষদ সম্মাননা দেয়া হবে। তারা হলেন ভাষাসংগ্রামী কবি আহমদ রফিক, গীতিকবি আবদুল গাফফার চৌধুরী ও কবি বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর।
স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে কবিতা উৎসবের শুরু হয় ১৯৮৭ সালে, কালের পরিক্রমায় সে উৎসব আজ আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে জন্ম নেয়া জাতীয় কবিতা উৎসব ও জাতীয় কবিতা পরিষদের নিরন্তর এই সংগ্রামের ইতিহাস আজ আর কারো অজানা নয়। অব্যাহতভাবে স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, যুদ্ধাপরাধের বিচার ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কথা বলে এসেছে।
এ প্রসঙ্গে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত বলেন, আপসের চোরাবালিতে হারিয়ে যাওয়ার কোনো নজির সেই চর্যাপদের কবিদের মতো আমাদের কবিদের কখনো ছিল না। ‘সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে’ খুব স্বল্পে তুষ্ট থেকে আকাশ-সমান স্পর্ধিত সাহসে ভর করে আমরা আমাদের কথা বলে এসেছি। কবিদের দ্রোহের স্ফূলিঙ্গ থেকে জন্ম নিয়ে কী করে একটি উৎসব জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক উৎসবে রূপ নিলো তার ইতিহাসও কমবেশি আপনারা জানেন। অথচ পরিকল্পনাবিহীন বহু অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় দেখে অনেক সময় আমরা বিস্মিত হই। সাংস্কৃতিক সংগ্রামের উজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আমরা আজো সেই পথেই মাথা উঁচু করে হাঁটছি ’৫২-র ঊষালগ্নে আমাদের পূর্বসূরিরা যে পথ দেখিয়ে গেছেন। মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য থেকে উৎসারিত সব জাতীয় উৎসবের গৌরব ধরে রাখার দায়িত্ব সবার।
আয়োজকরা জানান, উৎসবসহ আমরা বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। দেশে-বিদেশে কবিতা উৎসব, দেশের অভ্যন্তরে টুঙ্গীপাড়া মুজিবনগরসহ কয়েকটি জেলা শহরের সঙ্গে দেশের বাইরে লন্ডন কলকাতা বাংলাদেশ ভবন শান্তিনিকেতন ও আগরতলায় মুজিববর্ষে অনুষ্ঠানমালা থাকবে। জেলা থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে কবিতা পরিষদ।