×

পুরনো খবর

নিপা ভাইরাস ‘আক্রান্ত’ সাদিয়ার মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:০৪ পিএম

নিপা ভাইরাস ‘আক্রান্ত’ সাদিয়ার মৃত্যু

সাদিয়া আক্তার/ ছবি: ভোরের কাগজ।

নিপা ভাইরাস সন্দেহে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সাদিয়া আক্তার (১৬) নামের স্কুলছাত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শনিবার দিবাগত রাত্রে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। পরে স্বজনরা তাঁর মৃতদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। তবে তার শরীরে নিপা ভাইরাসের কোনো জিবানু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজিপুর শ্রীপুর উপজেলা চাওবন গ্রামে তাদের বাড়ির পাশের কবরস্থানে তার মৃতদেহের দাফন করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, ওই স্কুলছাত্রীর শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ মাল্টিপল ডিজেজ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলো। হাসপাতালে আসার আগেই তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল সে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত। এজন্য তার রক্তের নমুনা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছিলো। তবে সেখান থেকে জানানো হয়েছে, তার শরীরে নিপা ভাইরাসের জিবানু পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো জানান, এটা জানার পরে তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি, চিকিৎসাধীন শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরবর্তিতে পরিবারের কাছে তার মৃতদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাদিয়ার চাচা আব্দুস সামাদ জানান, ঢাকা মেডিকেলের ইমার্জেন্সি সার্ভিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন থাকার পর সাদিয়াকে কেবিনে নেয়া হয়েছিলো। পরে তাকে ওয়ার্ডের স্থানান্তর করা হয়। তবে রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে আইসিওতে নিতে বলেছিলেন তাকে। রাত্রে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় সেখানে কোন সিট খালি নাই। পরে ওয়ার্ডেই তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরো জানান, রাতেই তার মৃতদেহ গাজীপুরের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে রবিবার দুপুরে তার মৃতদেহ দাফন করা হয়। গাজিপুর শ্রীপুর উপজেলা চাওবন গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আ. সাত্তারের মেয়ে সাদিয়া। দুই ভাই বোনের মধ্যে সাদিয়া বড়। বাওনি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৯ম শ্রেণির ছাত্রী সে।

স্বজনরা জানায়, ২বছরের বেশী সময় ধরে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছিলো সাদিয়া। স্কুলেও হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে যেতো। খিচুনিও হতো। প্রথম পর্যায়ে সমস্যাটা অল্প আকারে দেখা দিলেও সময়ের সাথে আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে এটি। এক পর্যায়ে প্রতিদিনই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলো, সাথে খিচুনিও। এরপর তাকে ১৪ জানুয়ারী শহিদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার এমআরআই, সিটিস্ক্যান সহ আরো বেশ কিছু পরিক্ষা নিরিক্ষা করা হয়। কিছুটা সুস্থ্য হবার পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখনও তেমন কিছু খেতে পারতোনা। শুধু তরল জাতীয় খাবার খেতো, তবে বারবার বমি করতো। এজন্য আবার ১৭ তারিখ তাকে সেখানে আবার নিয়ে যাওয়া হয়। ৩য় পর্যায়ে ২৭তারিখ আবার তাকে সেখানে ভর্তি করা হলে গত বৃহস্পতিবার সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App