পেসাপালো দলকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২০, ০৭:০৮ পিএম
বেসবলের আদলে বল ও ব্যাটের খেলা পেসাপালো। পেসাপালো শব্দটি ফিনিশ উচ্চারণ থেকে আসায় এটিকে ফিনিশ বেসবলও বলা হয়। যা বর্তমানে পেসিস নামে নামকরণ করা হয়েছে। ১৯২০ সালে লৌরি তাহকো পিকালা খেলাটির আবিস্কার করেন এবং ফিনল্যান্ডের জাতীয় খেলা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। পেসাপালো খেলাটি এশিয়া মহাদেশে নতুন হলেও ইউরোপ-আমেরিকার শান্তি প্রিয় দেগুলোর মধ্যে এর অধিক জনপ্রিয়তা ও প্রচার-প্রসার রয়েছে।
গতবছর ১০ম পেসাপালো বিশ্বকাপে বাংলাদেশ রার্নাসআপ হয়েছে। প্রথমবার অংশ নিয়ে ফাইনালে ওঠা বাংলাদেশ দলকে গতকাল যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ পেসাপালো দলকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি।। ভারতের পুনেতে অনুষ্ঠিত পেসাপালো বিশ্বকাপে মিশ্র ও নারী বিভাগের ফাইনালে ফিনল্যান্ডের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। আর পুরুষ বিভাগে ভারতকে হারিয়ে তৃতীয় হয় বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার ( ৩০ জানুয়ারি) বিকেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বিশ্বকাপে রানার্স-আপ হওয়া পেসাপালো দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এ সময় তিনি পেসাপালো অ্যাসোসিয়েশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভূক্ত করার আশ্বাস দেন, ‘ পেসাপালো দলের যে সাফল্য সে বিষয়টি আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করব। তাকে জানাবো যে জাতির জন্য পেসাপালো দল এই সম্মান নিয়ে এসেছে। সেখানে স্বাগতিক দেশ ছিল ভারত। তাদেরকে এবং ফিনল্যান্ডকে পরাজিত করে বাংলাদেশ তিনটি পদক জিতে আনে। এটা কিন্তু কম বিষয় নয়।’ পেসাপালোর এখনো নিবন্ধন পায়নি। সরকারি স্বীকৃতি না পেলে অনেক সময় বিদেশে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে জবাবদিহিতার মধ্যে থাকতে হয়। বিষয়টি অবশ্যই আমরা দেখব।
পেসাপালো খেলাটি বেসবলের মতো দেখতে হলেও নিয়মগুলো সহজ ও ধরনে ভিন্নতা রয়েছে। যা খুব সহজেই আয়ত্ব করা যায়। অফেন্স ব্যাটিং দলে ১২ জন ও ফিল্ডিং দলে ৯ জন খেলোয়াড় থাকে। অফেন্স দল সাধারণ ব্যাটিং করে বেস দখল করে বা স্কোর করার চেষ্টা করে। অপরদিকে ডিফেন্স দল রানার বেসে পৌঁছানোর পূর্বে প্রতিরোধ গড়ে আউট করার চেষ্টায় থাকে। রানার কোনো বাঁধা ছাড়া বেস কমপ্লিট করতে পারলে স্কোর সম্পন্ন হয়। আর ফিল্ডার ফিল্ডিং করা বল রানার পৌঁছানোর আগে বেসে পাঠাতে পারলে আউট হয়।
বেসবলের সঙ্গে পেসাপালোর গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হল উলম্ব পিচিং (বোলিং)। পিচার ব্যাটারের সামনে থেকে পিচিং প্লেটের উপর টার্গেট করে নিচ থেকে উপরের দিকে উলম্ব করে বল নিক্ষেপ করে। ফলে ব্যাটার খুব সহজেই দিক ও শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে বল আঘাত করতে পারে। এই আক্রমণাত্মক খেলা বেসবলের চেয়ে অনেক বেশি ভিন্ন গতি ও কৌশলগত মাত্রা দেয়। ফিল্ডিং দলকে প্রতিরক্ষামূলক পরিকল্পনা এবং প্রত্যাশার সাথে ব্যাটসম্যানের পছন্দগুলি প্রতিহত করতে বাধ্য করা হয়। তখন খেলা একটি মানসিক চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে