×

জাতীয়

১২ লাখ টাকা খোয়ালেন দুই কাউন্সিলর প্রার্থী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ১০:২৩ এএম

১২ লাখ টাকা খোয়ালেন দুই কাউন্সিলর প্রার্থী
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে নিশ্চিত জয়ের প্রলোভনে পড়ে ১২ লাখ টাকা খুইয়েছেন ৩০নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী। গত ২২ জানুয়ারি মোবাইল ফোনে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেয়া এক ব্যক্তির প্রতারণার শিকার হন লাটিম প্রতীকের ইয়াসিন মোল্লা ও টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকের আবুল কাশেম। তাদের মধ্যে ইয়াসিন মোল্লা আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। সেখানে দলসমর্থিত প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে আছেন তিনি। এ দুটি প্রতারণার ঘটনায় গত ২৪ জানুয়ারি অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা ও একটি জিডি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইয়াছিন মোল্লার হয়ে তার ছেলে কাওসার মোল্লা বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২২ জানুয়ারি সকালে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) পরিচয়ে ০১৭১৩৩৭৩১৮৩ নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়, ‘আমি ওসি (আদাবর থানা), আমি আপনার জন্য নির্বাচনে কিছু করতে পারলাম না। কিন্তু আপনার জন্য একটি পথ তৈরি করে দেই। আপনি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আদাবর থানা ৩০নং ওয়ার্ড এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা বলেন।’ তারপর ওসি পরিচয়দাতা ০১৯০৬৬৬৩০৯৬ নম্বরটি দিয়ে বলেন, এটি ম্যাজিস্ট্রেটের নম্বর। খানিকক্ষণ বাদে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ধারীর নম্বর থেকে ফোন করে ইয়াসিন মোল্লাকে বলা হয়, ‘আপনি কি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হতে চান? যদি হতে চান, তাহলে আপনাকে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। নির্বাচনের আগে ৫ লাখ টাকা এবং পাস করার পরে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে।’ এতে ইয়াসিন মোল্লা রাজি হয়ে ১২ দফায় ৫ লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠান সেই ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ধারীর দেয়া নম্বরে। এরপর সেদিন সন্ধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ধারী প্রতারক আবারো ফোন করে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা চাইলে ইয়াসিন মোল্লার সন্দেহ হয়। তখন তিনি বিষয়টি ফোন করে আদাবর থানার ওসিকে জানান। একই ওয়ার্ডের টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কাশেমের কাছ থেকেও একইভাবে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। এ বিষয়ে কাশেমের ম্যানেজার ফরহাদ থানায় জিডি করেছেন। আদাবর থানার ওসি কাজী শহীদুজ্জামান বলেন, দুজন প্রার্থীর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। আমাদের ধারণা তারা আমার নম্বর ক্লোন করে প্রতারণা করেছে। এই ঘটনায় একটি মামলা ও একটি জিডি হয়েছে। আমরা মামলা তদন্ত করছি। আশা করছি প্রতারক চক্রটিকে দ্রুত ধরে ফেলব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App