×

খেলা

সিরিজ হারলেও ব্যাটে বলে শীর্ষে তামিম-শফিউল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ০১:১৫ পিএম

সিরিজ হারলেও ব্যাটে বলে শীর্ষে তামিম-শফিউল

পাকিস্তান সফরে সংক্ষিপ্ত ফরমেটের সিরিজ হারলেও ব্যাটিং বোলিং পরিসংখ্যানে শীর্ষে রয়েছে টাইগাররাই। ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হারের পরও সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল খান এবং বোলিংয়ে শফিউল ইসলাম সুহাস।

গতকাল তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ছিল কেবল সম্মান রক্ষার লড়াই, হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর মিশন। কিন্তু বৃষ্টি বাধায় ম্যাচটিতে টস পর্বই হতে পারেনি। মধুর সমাপ্তির আশায় থাকা বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি। পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় সুবিধাই হয় স্বাগতিকদের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান না হারিয়ে ধরে রাখল বাবর আজমের দল। ২০১৮ সালের পর এবারই প্রথম সংক্ষিপ্ত ফরমেটের সিরিজ জিতল তারা। অন্যভাবে বলা যায়, বিনা লড়াইয়ে পাকিস্তানকে সিরিজ উপহার দিল বাংলাদেশ। যেখানে ২০১৯ সালে পুরো বছরে ৯টি ম্যাচ খেলে মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। ১২ বছর পর পাকিস্তান সফরে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরতে হলো রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যদের। অবশ্য আরো দুদফা পাকিস্তানে সফর করবে বাংলাদেশ দল। ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় একটি টেস্ট খেলতে পাকিস্তান যাবেন মাহমুদউল্লাহ-তামিমরা। ৭-১১ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। এরপর আবার এপ্রিলে তৃতীয় ও শেষ ধাপে একটি করে ওয়ানডে ও টেস্ট খেলতে পাকিস্তান যাবে টাইগাররা।

প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ নাঈম ও তামিমের ৭১ রানের উদ্বোধনী জুটির সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ১৪১ রানে থেমে বাংলাদেশের হার ৫ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাবর আজমদের বিপক্ষে ৯ উইকেটে হার। তবে এর মাঝে সান্ত¡না এই, অনুষ্ঠিত ২ ম্যাচে রান ও উইকেট সংগ্রহে শীর্ষ স্থান দুটি বাংলাদেশের দখলে। দুই ইনিংসে ১১৯.৫৪ স্ট্রাইক রেটে তামিম ইকবালের রান ১০৪। দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ ৮৪ এবং তৃতীয় অবস্থান বাবর আজম ৬৬ রান।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তামিম ইকবাল সর্বশেষ অর্ধশতকের দেখা পেয়েছিলেন ২০১৮ সালের আগস্টে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচে খেলেছিলেন ৪৪ বলে ৭৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এরপর প্রায় দেড় বছর পর ফের পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অঙ্গনে ফেরেন।

ফিরেই পেলেন দুর্দান্ত এক অর্ধশতকের স্বাদ। যা পেতে তাকে খেলতে হয়েছে ৪৪টি বল। যদিও সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই পেতে পারতেন অর্ধ শতকের দেখা। কিন্তু ৩৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই ভুলটা করেননি বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। শুরু থেকেই বেশ দেখে শুনে খেলছিলেন এই টাইগার ওপেনার। ষষ্ঠ ওভারে রেজওয়ানের বলে প্রথম জীবন পান এই টাইগার ওপেনার। ৪৫ রানে আম্পায়ারকে চ্যালেঞ্জ করে পান দ্বিতীয়বারের মতো জীবন। ম্যাচের ১৫তম ওভারের প্রথম বলেই ডিপ কভারে শাদাব খানের বল বাউন্ডারি লাইনের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েই তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৭ম অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বল খেলে ১ ছক্কা ৭ চারে ৬৫ রান করে রানআউটের শিকার হন তামিম।

অন্যদিকে, ২ ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ডান হাতি পেসার শফিউল ইসলাম সিরিজের শীর্ষ বোলার। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় ওয়ানডে সিরিজে শফিউলের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। শফিউলই ছিলেন বাংলাদেশ স্কোয়াডের একমাত্র খেলোয়াড়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। ঘরোয়া লিগে নজরকাড়া সাফল্যে নির্বাচকদের মন জয় করেন তিনি। আর টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে। এ পর্যন্ত ১৯ ইনিংসে তার সংগ্রহ ১৯ উইকেট, ইকোনমি ৮.০৫ এবং সেরা বোলিং ৩/৩৬। ২টি করে উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি ও শাদাব খান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App