×

জাতীয়

ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রতিভা অন্বেষণে সংসদে বিল পাস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৫৩ পিএম

ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রতিভা অন্বেষণে সংসদে বিল পাস

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল/ ফাইল ছবি।

১৯ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড গঠনের বিধান রেখে সংসদে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) বিল-২০২০ পাস হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের কতিপয় সংশোধনীসহ সংসদে স্থিকৃতভাবে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। বিলটিতে জনমত যাচাই ও বাছাই এবং সংশোধনী প্রস্তাব দেন জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, মুজিবুল হক, রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এদের মধ্যে ফখরুল ইমাম ও রওশন আরা মান্নানের দুটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়।

চলতি সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপিত হয়। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীকে বোর্ডের চেয়ারমান ও প্রতিমন্ত্রীকে ভাইস চেয়ারম্যান ও ক্রীড়া সচিব, অর্থসচিবসহ ১৯ সদস্য বিশিষ্ট বিকেএসপি পরিচালনা বোর্ড গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বিলে অধ্যাদেশ বলে প্রতিষ্ঠিত বিকেএসপির সকল কার্যক্রম এই আইনের অধীনে হয়েছে বলে গণ্য হবে।

এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের সকল সম্পদ অধিকার ক্ষমতা, সকল ঋণ দায় ও দায়িত্ব, সকল চুক্তিসহ মামলার ধারাবাহিকতা একইভাবে বহাল থাকবে। বিলে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পর্কে বলা হয়, উন্নতমানের ক্রীড়া বিজ্ঞানী, কোচ, রেফারি এবং আম্পায়ার তৈরি, বিভিন্ন দেশীয় খেলাধুলার বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগ স্থাপন। বোর্ডের সভায় ৮ বিধির (২) উপবিধিতে প্রতি ৬ মাসে বোর্ডের অন্যূন্য একটি সভা বসার কথা বলা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৯৮২ সালে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের ঘোষণা বলে প্রতিষ্ঠিত হয়। সামরিক ফরমান বলে জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সম্বলিত সংবিধানের চতুর্থ তফশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ আদালত কর্তৃক বিলুপ্ত হয়। একইসঙ্গে সংবিধানের সপ্তম সংশোধন আইন ১৯৮৬ বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশের কার্যকারিতা লোপ পায়। কিন্তু উক্ত অধ্যাদেশসমুহের মধ্যে বিকেএসপিসহ কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখতে ২০১৩ সালে প্রণীত আইন দ্বারা সুরক্ষা দেওয়া হয়। উক্ত অধ্যাদেশের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বাংলা ভাষায় নতুনভাবে আইন প্রণয়ণের জন্য সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তাই বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) অধ্যাদেশ রহিত করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইন ২০১৯ বিল সংসদে উত্থাপন করা হলো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App