×

অর্থনীতি

ঋণখেলাপিরা বড় নিষেধাজ্ঞায় আসছেন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ১১:৩৫ এএম

ঋণখেলাপিরা বড় নিষেধাজ্ঞায় আসছেন

অর্থ মন্ত্রণালয়।

ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে বয়কট করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এমনকি তাদের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ রাখা হবে। পাশাপাশি পেশাজীবী, ব্যবসায়িক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনেও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপেও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এসব বিধান রেখে ফাইন্যান্স কোম্পানি আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। গত রবিবার এ বিষয়ে ফাইন্যান্স কোম্পানি আইনে-২০২০ এর খসড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়। সংশ্লিষ্টদের মতামতের পর আইনটি চূড়ান্তভাবে প্রণয়ন করা হবে বলে জানা গেছে।

খসড়া বিলে বলা হয়েছে, ফাইন্যান্স কোম্পানি খেলাপি বা স্বেচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্তকরণ এবং সিআইবিতে রিপোর্টকরণসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা পরিপালন করবে। খেলাপি ঋণ গ্রহীতাকে দেউলিয়া ঘোষণা করার লক্ষ্যে ফাইন্যান্স কোম্পানি দেউলিয়া আদালতে আবেদন করবে বা একইভাবে আবেদন করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ফাইন্যান্স কোম্পানিকে নির্দেশ দিতে পারবে। খেলাপি ঋণ গ্রহীতার অনুক‚লে ফাইন্যান্স কোম্পানি কোনো রকম ঋণ দিবে না।

স্বেচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতাকে তালিকাভুক্তির এক মাসের মধ্যে তার বকেয়া ঋণ আদায়ের জন্য ফাইন্যান্স কোম্পানি আইনগত ব্যবস্থা নেবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে। স্বেচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতাদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের কাছে প্রেরণপূর্বক তাদের বিদেশ ভ্রমণ, গাড়ি ও বাড়ি রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু, ‘যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর’-এর কোম্পানি নিবন্ধনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলে সরকার সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

এতে আরও বলা হয়, স্বেচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে কোনো সম্মাননা পাওয়ার বা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না এবং কোনো প্রকার পেশাজীবী, ব্যবসায়িক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন-২০১৯ রাজনৈতিক সংগঠন পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত কোনো কমিটির যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে বা আসীন থাকতে পারবে না।

প্রস্তাবিত নতুন আইনে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি তার নিজের বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রদত্ত ঋণ বা ঋণের অংশ বা তার ওপর অর্জিত সুদ বা উহার মুনাফা তার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী পরিশোধ না করেন বা তিনি জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও মিথ্যা তথ্য দেয়ার মাধ্যমে অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির নামে ঋণ নেন বা তিনি যেই উদ্দেশ্যে ঋণ দেয়া হয়েছিল সেই উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ওই ঋণ বা ঋণের অংশ ব্যবহার বা স্থানান্তর করেন; বা তিনি ঋণের বিপরীতে প্রদত্ত জামানত ঋণ প্রদানকারী ফাইন্যান্স কোম্পানির অজ্ঞাতসারে হস্তান্তর বা স্থানান্তর করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App