×

জাতীয়

শেষ সময়ে বাড়ছে সহিংসতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:৪৯ এএম

শেষ সময়ে বাড়ছে সহিংসতা

রাজধানীর গোপীবাগে গতকাল বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাকের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান আওয়ামী লীগের স্থানীয় কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা -ভোরের কাগজ

ঢাকার ২ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে ভোটের মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গত কয়েকদিনে উত্তর ও দক্ষিণ ২ সিটি করপোরেশন এলাকায় কাউন্সিলর এবং মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষে রক্তাক্ত জখম হয়েছে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক। এমনকি ভোটের মাঠে ব্যবহারের জন্য সীমান্তপথে অবৈধ অস্ত্রের চালান ঢাকায় আনার প্রমাণও পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ঢাকার বাইরে থেকে এসে জড়ো হচ্ছে ক্যাডাররাও। এ অবস্থায় রবিবার দুপুরে আর কে মিশন রোড এলাকায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের গণসংযোগ থেকে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুর, দ্বিমুখী সংঘর্ষ এবং ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনা নতুন উদ্বেগ ছড়িয়েছে। যদিও পুলিশ বলছে বিকেলে ওই এলাকায় ইশরাকের গণসংযোগ করার কথা থাকলেও তিনি হঠাৎ করে দুপুরে গণসংযোগে বের হওয়ায় সেখানে আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত সভা চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে শেষ সময়ে বাড়ছে সহিংসতা ও নানা উদ্বেগ। জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারের সময় গতকাল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্য সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে দুপক্ষে একে অপরের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা করে। হামলার মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ার শব্দ শোনা গেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। সংঘর্ষে এক সংবাদকর্মীসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আধঘণ্টা পর্যন্ত এ অবস্থা চলার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রবিবার দুপুর একটার দিকে রাজধানীর টিকাটুলি মোড় থেকে ইশরাক হোসেন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে আর কে মিশন রোড দিয়ে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের দিকে যাওয়ার সময় কলেজের মূল ফটকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রোকন উদ্দিন আহমেদের সমর্থকদের সঙ্গে ইশরাকের কর্মী-সমর্থকদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষই একে অন্যের উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এর মধ্যে অন্তত ১০টি গুলির শব্দও শোনা গেছে। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে শুরু হয়ে ১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আওয়ামী লীগের সমর্থকরা বলছেন, ইশরাকের মিছিল থেকে উসকানিমূলক স্লোগান দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির সমর্থকরা বলছেন, তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে হামলা চালানো হয়। এ বিষয়ে ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যাচ্ছিলাম। আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর যেখানে কার্যালয় রয়েছে। সেখান থেকে হামলা করা হয়েছে। আমি আমার কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি। তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে বলেও দাবি করে ইশরাক বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের মাধ্যমে আমরা এর জবাব দেব। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই হামলার উদ্দেশ্য বিএনপিকে মাঠছাড়া করা, নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে থাকবে। এই হামলার ব্যাপারে মামলা করা হবে। অন্যদিকে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী রোকন উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ক্যাম্পের ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ ইশরাকের লোকজন আমাদের নির্বাচনী ক্যাম্পের দরজা ভেঙে আমাদের ওপর হামলা করে। এ সময় ইশরাকের লোকজন ৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে, তাদের হামলায় আমাদের লোকজন আহত হয়েছে। আমাদের কেউ হামলায় ছিল না। আওয়ামী লীগের ৩৯ নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল বলেন, ধানের শীষের মিছিল আসার আগে আমাদের প্রোগাম ছিল। তারা আসার আগেই আমরা অনুষ্ঠান শেষ করে ভেতরে চলে যাই। আমাদের কোনো লোকজন রাস্তায় ছিল না। তাদের একটি গ্রুপ আগে চলে যায়; তার পরের গ্রুপে ছিলেন ইশরাক। সেই গ্রুপটা এসে আগে হামলা চালায়। এতে আমাদের ৪ জন আহত হন। দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রচারণায় থাকা ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, আমরা মতিঝিল এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে টিকাটুলির দিকে ঢোকার পথে হঠাৎ করে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট-পাটকেল, লাঠিসোঁটা দিয়ে আমাদের ওপর হামলা হয়। আমরা প্রতিহত করতে গেলে আমাদের ওপর অন্তত কুড়ি রাউন্ডের মতো গুলি নিক্ষেপ করা হয়েছে। মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের পায়ে ইটের আঘাত লেগেছে। ইশরাকসহ আমাদের ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনার সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ওয়ারী থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) সুদীপ কুমার সাহা বলেন, ইশরাক হোসেনের এই এলাকায় নির্বাচনী প্রচারের কথা ছিল বিকাল ৫টায়। সে অনুযায়ী পুলিশকে তারা একটি চিঠিও দিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে তারা দুপুর ১টায় ওই এলাকায় নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন, যা পুলিশকে জানাননি। ফলে পুলিশের কোনো প্রস্তুতি ছিল না। ওয়ারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমানও একই কথা জানান। ওয়ারী থানার ডিউটি অফিসার শিলা আকতার দুপুরে জানান, তারা ৯৯৯ থেকে প্রথম সংঘর্ষের খবর পান। এরপর সেখানে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয় এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তুতি নেয়ার সময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, এই হামলা সুপরিকল্পিত হামলা। বিএনপি প্রার্থী প্রচারণা না চালিয়ে তার বাসার সামনে থাকা নৌকার ক্যাম্পে গিয়ে কেন হামলা চালাবে, সেখানে কেন সে উপস্থিত থাকবে? সংঘর্ষের পর গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছে, বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেনের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা রাজধানীর বাইরে থেকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের ঢাকায় এনে জড়ো করছে। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল করা। বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করা। তবে সংঘর্ষের বিষয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন। অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যায় উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের খিলক্ষেত কাওলায় প্রতিদ্ব›দ্বী ২ কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গতকাল বিকেলে পুরান ঢাকার লালবাগ গোর এ শহীদ এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হাসিবুর রহমান মানিকের সমর্থকদের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির কথা শোনা গেছে। এদিকে, গতকাল দুপুর আড়াইটায় ওয়ারী বনগ্রাম ৩ নম্বর যোগীনগর লেনে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী মেহেরুন্নেসার নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢুকে গুলি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে শান্ত (৩০) নামে একজন গুলিবিদ্ধসহ ৩ জন আহত হন। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। শনিবার রাতে মুগদা এলাকায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ফারহানা ইসলাম ডলির নির্বাচনী মিছিলে একদল সন্ত্রাসীর হামলায় নারী-পুরুষসহ অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর গাবতলী আনন্দনগরে উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের গণসংযোগকালে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থীত কাউন্সিলর প্রার্থী মুজিব সারোয়ার মাসুমের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরআগে ১২ জানুয়ারি রবিবার মিরপুরে তাবিথের গণসংযোগে বিএনপির দুগ্রুপে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া শাহ আলি মাজারের অদূরে তাবিথের প্রচারণায় হামলার অভিযোগ ওঠে। গত শুক্রবার ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে কামরাঙ্গীরচর রসুলপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাইদুর রহমান রতনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ক্যাম্প ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। কাউন্সিলর প্রার্থী রতনের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার রাতে কুড়ার ঘাট এলাকায় তার ৮-১০ জন কর্মী ঠেলাগাড়ি মার্কার পোস্টার লাগাতে গেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হোসেনের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এতে তারা আহত হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার পর শুক্রবার কামরাঙ্গীরচরের রসুলপুরের রনী মার্কেট এলাকায় তার পূর্ব নির্ধারিত জনসংযোগ করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি যাওয়ার আগেই খবর পান মোহাম্মদ হোসেনের ৭০-৮০ জন কর্মী লাঠিসোঁটা ও ইট-পাথর নিয়ে হামলা করার জন্য অপেক্ষা করছেন। পরে রতন কামরাঙ্গীর চর থানার ওসি মশিউর রহমানকে ফোন করেন। মশিউর রহমান তাকে ওই এলাকায় প্রচারণায় না গিয়ে অন্য এলাকায় প্রচারণায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তিনি খালপাড় এলাকায় প্রচার চালাতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তার তার কর্মীদের ওপর হোসেনের লোকজন হামলা করে তার নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের বেরাইদে ২ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের ৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের (লাটিম মার্কা) এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্য রহমত উল্লাহর ভাগ্নে আইয়ুব আনছার মিন্টুর (ঘুড়ি মার্কা) সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। তারা দুপক্ষ একে অপরের আত্মীয় হলেও নির্বাচনকে ঘিরে তাদের এক পক্ষ লাটিম ও অন্যপক্ষ ঘুড়ি প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহতদের মধ্যে ঘুড়ি প্রতীকের সমর্থকরা হলেন ফাতেমা, মাসুম, আসাদুল, রুবিনা, রিপন ও আজিজুল এবং লাটিম প্রতীকের আহত সমর্থকরা হলেন ফয়সাল, মিনহাজ ও সাইফুর রহমান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App