×

সারাদেশ

মেঘনায় অসময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ০১:০৩ পিএম

মেঘনায় অসময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

ইলিশ। ফাইল ছবি

মেঘনায় অসময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

ইলিশ মাছ। ছবি: ভোরের কাগজ।

ভোলার মেঘনা-তেতুলিয়ায় গত কয়েক দিন যাবত ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। শীত মৌসুমে হঠাৎ জালে এত ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেরাও বিস্মিত। বড় বড় মৎস্য আড়তে ইলিশ বেচাকেনার ধুম পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ায় অধিক সরবরাহের কারণে মূল্যও কমেছে। ক্রেতারাও বেশ খুশি। ইলিশ কিনছেন যে যার সাধ্যমতো। তবে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্রয় করা ইলিশ ককশিটে বরফ দিয়ে প্যাকেটজাত করছেন শ্রমিকরা। প্রতিটি আড়ত ঘরের সামনে ককশিটের প্যাকেট স্তূপ করে রাখা হয়েছে।

মৎস্য ঘাটে গিয়ে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৫-২০ দিন থেকে বঙ্গোপসাগর, মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। বেশিরভাগ ইলিশের ওজন প্রায় এক কেজি। শীত মৌসুমে ভোলার নদীতে এত ইলিশ ধরা পড়ার নজির আর নেই।

ভোলার নাছিরমাঝি মৎস্য ঘাটের আড়তদার সিরাজ হাওলাদার বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সাগর ও নদীতে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। ফলে শীত মৌসুমেও জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। বর্ষার মতো শীতে ইলিশের বেশি চাহিদা থাকে না। তাই চাহিদার তুলনায় ইলিশ আমদানি বেশি হওয়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমেছে।

[caption id="attachment_198464" align="aligncenter" width="700"] ইলিশ মাছ। ছবি: ভোরের কাগজ।[/caption]

তিনি জানান, এক কেজি ওজনের ইলিশের মণ বিক্রি হচ্ছে ৩২ হাজার টাকায়। সে হিসেবে প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৮০০ টাকা। রপ্তানিযোগ্য এলসি আকারের (৭০০-৯০০ গ্রাম) প্রতি মণ ২৬ হাজার টাকা। সে হিসেবে প্রতি কেজি ইলিশের পাইকারি দাম পড়েছে ৬৫০ টাকা। হাফ কেজি আকারের (৪০০-৫০০ গ্রাম) ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার টাকায়। সে হিসেবে প্রতি কেজি ইলিশের পাইকারি দাম পড়েছে ৫০০ টাকা। ভোলার জংশন চডার মাথা, তুলাতুলি, নাছির মাঝি, কোঁড়ার হাট,সুইজগেইট, চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া মৎস্য ঘাট, দুলারহাট, ঢালচর, কুকরি-মুকরি, দক্ষিণ আইচা ও শশীভূষণ বাজারগুলো ইলিশের ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে এখন সরগরম।

জেলা মৎস কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, শীতের মৌসুমেও এই অঞ্চলে ইলিশ ধরার বিষয়টি চোখে পড়ার মত। তিনি বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, সরকার যে পরিকল্পনা নিয়ে মৎস উৎপাদনে নিরলস ভাবে কাজ করছেন তারই সুফল মাত্র। এখনো আমরা নদীতে ইলিশ প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবৈধ খুটাজাল, বিন্দিজাল সহ সকল অবৈধ জ্বাল ও অবৈধ মৎস শিকারিদের স্বমূলে বিনাশ করার লক্ষ্যে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আশাকরি আগামীতে ভোলাকে ইলিশের অভয়আরোণ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো। এ

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App