×

জাতীয়

ঢাকার হাসপাতালে চীনা নাগরিক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:০৪ পিএম

ঢাকার হাসপাতালে চীনা নাগরিক

প্রতীকী ছবি

করোনা ভাইরাসের উপসর্গ জ্বর-কাশি ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চীনা এক নাগরিক। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন। এদিকে জ্বরে ১৮ ঘন্টার ব্যবধানে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় একই পরিবারের ২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সেখানে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। মৃত দুই জন আব্দুর রহমান (৩) ও ছামিয়া আক্তার (৩২)। তবে মৃতরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত করেছে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান পাটোয়ারী।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চীনা নাগরিকের হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি তারা জানেছেন। কিন্তু‘ এখনো ওই চীনা নাগরিকের লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চীনা ওই নাগরিক চলতি মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে ঢাকায় এসেছেন। তাকে হাসপাতালের একটি বিশেষ কক্ষে রাখা হয়েছে। যেখানকার বাতাস বাইরে বেরুতে পারে না। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে লৌহজং প্রতিনিধি জানান, রবিবার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার যশলদিয়া এলাকায় মীর সোহেলের শিশু পুত্র আব্দুর রহমান মারা যায়, এর আগেরদিন শনিবার রাত ৮টায় মীর জুয়েলে স্ত্রী ছামিয়া আক্তার মারা যায়। তারা ২জন সম্পর্কে চাচী-ভাতিজা।

মৃত ছামিয়ার স্বামী মীর জুয়েল জানান, শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ ছামিয়ার শরীরে ব্যথা অনুভব করলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎকসকে জানান। পল্লী চিকিৎসক এসে জ্বর হয়েছে বলে নিশ্চিত করে ঔষধ দিয়ে যায়। পরে তার হাত পায়ের আঙুল বাকা হতে শুরু করে ও দাত লেগে যায়। একপর্যায় রাত ৮টায় মারা যায় ছামিয়া। রবিবার ভাতিজা আব্দুর রহমানেরও একই ভাবে মৃত্যু হয়।

এ ব্যপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান পাটোয়ারী জানান, ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে নিহত রহমানের ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে, নিহতের লক্ষণ দেখে করোনা ভাইরাস নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিশেষ টিমের পরিক্ষা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে।

এদিকে ঘটনার পরই এলাকা করোনা ভাইরাস আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে এলাকাটিতে পদ্মা সেতু ও যশলদিয়া পানি শোধনাগারে নির্মান কাজ চলমান থাকায় চীন সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের উপস্থিতি রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App