×

মুক্তচিন্তা

টিএসসিকে মূলধারার শিক্ষায় নেয়া জরুরি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ১০:২৩ পিএম

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব দরজার কড়া সব দেশেই নাড়ছে। আমরাও এর বাইরে থাকতে পারব না। আমাদের প্রতিটি শিশু-কিশোরকে আমরা যদি জ্ঞানবিজ্ঞান, প্রকৌশল, ভাষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ধারাতে যুক্ত করতে পারি তাহলে বেকারত্ব আমাদের দেশ থেকেও দূর হতে কোনো সমস্যা দেখি না। কিন্তু যেভাবে আমরা চলছি, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যেভাবে চলছে তা অব্যাহত থাকলে খুব নিকট ভবিষ্যতেই আমাদের আরো অনেক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হতে পারে।
গত ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একনেক সভায় দেশের উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ এবং করণীয় নানা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি টিএসসি প্রতিষ্ঠায় সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনে দক্ষ শিক্ষক বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আনারও নির্দেশ দিয়েছেন বলে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নতুন টিএসসির প্রতিষ্ঠা শেষ হতে প্রায় চার বছর সময় প্রয়োজন হবে। এই সময়ে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ভালোভাবে শুরু করা যায় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। বাংলাদেশে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষক নেই এটি ভাবতে বেশ অবাক হতে হয়। তবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য দরকারি শিক্ষক নেই এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এর কারণ হচ্ছে দেশে প্রয়োজনের চাইতে অধিকসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও টেকনিক্যাল ধারার শিক্ষার প্রতি আমাদের দেশে বরাবরই অনাগ্রহ দেখা গেছে। সাধারণভাবে মানুষের মধ্যে বিএ পাস, এমএ পাস করার প্রবণতা অনেক বেশি। সাধারণ শিক্ষায় বেকার থাকলেও মানুষের মধ্যে বিএ পাস, এমএ পাস ডিগ্রি নিয়ে এক ধরনের ‘মর্যাদা’র অহংকার রয়েছে। সে কারণে অনেক দরিদ্র পরিবারও সম্পদ বিক্রি করে সন্তানকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে যতটা আগ্রহী থাকেন টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) নামক শিক্ষায় যদি বিনা পয়সায়ও পড়ার সুযোগ থাকে তাতেও অনেকের আগ্রহ খুব বেশি দেখা যাবে না। এর কারণ হচ্ছে, আমরা এখনো শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য এবং বিশ্ববাস্তবতায় দক্ষ মানবশক্তি গঠনে কী ধরনের শিক্ষালাভ করা তরুণদের জন্য আকর্ষণীয় ও প্রয়োজনীয় হতে পারে সেটি বুঝতে অনেকেই খুব একটা রাজি হচ্ছি না। সমাজে বিএ, এমএ ডিগ্রির ‘মর্যাদাটি’ একান্তই বাস্তবতা বিবর্জিত ধারণাপ্রসূত। অভিভাবকরা মনে করেন উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি ছাড়া সমাজে সন্তানকে নিয়ে পরিচয় দেয়া বা গর্ব করা খুবই ‘লজ্জার’ বিষয়। বিয়ে-শাদিতে কনে ও বরের বিবেচনাতেও এই ডিগ্রি দুটো অনেক বেশি অনড় প্রাধান্য পাওয়া বিষয়। অথচ বাংলাদেশে লাখ লাখ তরুণ-তরুণী সাধারণ বিএ, এমএ পাস ডিগ্রি নিয়ে বেকারত্বের অভিশাপ বহন করছে, চাকরির বাজারে তাদের মূল্য খুবই তলানিতে ঠেকেছে। এর অবশ্য অন্যতম কারণ হচ্ছে এসব সাধারণ শিক্ষা যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া হচ্ছে সেগুলো একেবারেই মানহীন, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কোনো প্রচেষ্টাই সেখানে নেই। ফলে বিরাটসংখ্যক শিক্ষার্থী কলেজ-মাদ্রাসা এবং বিভিন্ন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সব বিষয় নিয়ে ডিগ্রি নিচ্ছে যার চাকরির চাহিদা মোটের ওপর নেই। তার ওপর রয়েছে দক্ষতা অর্জনের বড় ধরনের ঘাটতি। অথচ দেশে দক্ষ মানবসম্পদের ব্যাপক অভাব রয়েছে। যারা বিদেশে লাখ লাখ টাকা খরচ করে কাজ করতে যাচ্ছেন তাদের বড় অংশই অদক্ষ জনশক্তি যে বাজারটি ক্রমেই সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। অথচ শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা গেলে আমাদের বেশিরভাগ কর্মী দেশের চাহিদা পূরণে কাজের সুযোগ পেত। বাংলাদেশ এই মুহূর্তে প্রায় ৫ লাখ বিদেশি উচ্চ প্রযুক্তিতে দক্ষতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞকে চাকরি দিয়ে নিয়ে এসেছে। এরা সবাই প্রযুক্তি এবং উচ্চতর প্রশিক্ষণে দক্ষ বিশেষজ্ঞ। বাংলাদেশের শিল্প-কারখানাগুলো এদের মোটা অঙ্কের বেতন দিচ্ছে। ফলে বিপুলসংখ্যক বৈদেশিক কষ্টার্জিত মুদ্রা আমাদের দেশ থেকে এসব দক্ষ বিদেশি জনশক্তি নিয়ে যাচ্ছে, আমরা কিছুই করতে পারছি না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের অবাস্তব শিক্ষাব্যবস্থা। মনে হচ্ছে কিছুটা দেরিতে হলেও সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বুঝতে পেরেছে যে দেশের স্কুল পর্যায়ে নবম-দশম শ্রেণিতে যেভাবে বিভাগওয়ারী শিক্ষা কার্যক্রম চলে আসছে সেটি খুবই অগ্রহণযোগ্য একটি ব্যবস্থা। নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কলা বিভাগের ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে বিভাজন তৈরি করে তা ১৪-১৬ বয়সের শিক্ষার্থীদের জ্ঞানগত প্রয়োজনীয় ধারণা অর্জনের সুযোগ থেকে অনেকটাই পিছিয়ে দেয়। এই বিভাজনগুলো অনেক আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের ভিত্তি তৈরির ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে আসছিল। কেননা অন্তত দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, সমাজ, দেশ, অর্থনৈতিক তথা বাণিজ্যের প্রয়োজনীয় জ্ঞানের ধারণা আবশ্যক। কিন্তু সেটি তারা বুঝার আগেই যেভাবে গ্রæপ বিভক্তিতে পড়ে যায় তাতে তাদের মধ্যে বড় ধরনের শিক্ষা দক্ষতার সংকট তৈরি হয়। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নবম-দশম শ্রেণিতে যে বিভাগ নিয়ে পড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে তার একটি বড় অংশ ঝরে পড়ে, উচ্চশিক্ষায় এর ধারেকাছেও অনেকে থাকে না। ফলে শিক্ষায় মনোযোগী হওয়ার ভিত্তি আগেই নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া আমাদের পাঠ্যবইয়ের কারিকুলামগত সমস্যা যেমন রয়েছে, আবার পঠন-পাঠনে দক্ষ শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব চ‚ড়ান্ত আকারে রয়েছে। ফলে আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী দক্ষতা অর্জনের ভিত্তি তৈরিতে যে ধরনের পঠন-পাঠনের সুযোগ ও প্রক্রিয়া ভেতরে থাকা প্রয়োজন ছিল তা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। সে কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই-আড়াই কোটির মতো থাকে, মাধ্যমিক শেষে তাদের সংখ্যা অল্প কয়েক লাখে চলে আসে। আবার উচ্চশিক্ষায় অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে একটা বড় অংশ শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করলেও প্রকৌশল, চিকিৎসা, প্রযুক্তি, ব্যবসা বাণিজ্য এবং সমাজও মানব চিন্তায় দক্ষ জনগোষ্ঠীর শিক্ষা নিয়ে সনদ লাভ করে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমেই আসছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের বড় অংশই বিজ্ঞান ভীতিতে যতটা ভোগে, ভাষা দক্ষতা, প্রযুক্তি দক্ষতা, সমাজ ও মানবিক বিষয়ও একইভাবে অদক্ষতায় বেড়ে উঠে। ফলে বড় অংশ শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক কিংবা তার পরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানের ধারায় সীমিত হয়ে আসে। মানবিক ও বাণিজ্যিক শাখায় নামি-দামি প্রতিষ্ঠান খুব বেশি হাতে নেই। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীদের জন্য সহজলভ্য সনদ প্রদানের বিষয়ও ব্যবস্থা বাণিজ্যিক কারণেই রেখেছে। সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই দেশের সিংহভাগ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার সনদ লাভের জন্য ভর্তি হয়। কিন্তু তেমন কোনো বিষয়জ্ঞান, ভাষাজ্ঞান, প্রযুক্তিজ্ঞান, এসব শিক্ষার্থীর জীবনে ঘটে না। ফলে এরা কর্মক্ষেত্রে ভালো ও পছন্দের কোনো কাজ খুঁজে নিতে পারে না। বিষয়টি দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে। কিন্তু ২০২০-পরবর্তী সময়ে এই ধারা অব্যাহত রাখার অর্থ হবে দেশের লাখ লাখ তরুণকে দক্ষতা অর্জনে বঞ্চিত থাকার সুযোগ অব্যাহত রাখা। তবে চট করে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে কারিগরি, প্রকৌশল, বৃত্তিমূলক এবং সমাজ ও বাণিজ্য সচেতন বিষয়ে প্রয়োজনীয় মানসম্মত শিক্ষাদানের প্রতিষ্ঠানে নেয়াও খুব সহজ কাজ হবে না। এখানে দীর্ঘদিনের মানসিক বিশ্বাস ও বোধের দ্রুত পরিবর্তন জরুরি। তাছাড়া শিক্ষার প্রচলিত ধারায় পরিবর্তন আনাও জরুরি। সরকার আগামী বছর থেকে স্কুল পর্যায়ের পাঠক্রমে যে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছে সেটি তখনই সুফল বয়ে আনবে যখন নতুন প্রণীত কারিকুলামটি তাড়াহুড়া না করে কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ দিয়ে প্রণয়ন করা হয়। একই সঙ্গে শিশু-কিশোরতোষ বিশেষজ্ঞ দিয়ে পাঠ্যবই, লেখা ও সম্পাদনা করার কাজটি গুরুত্বের সঙ্গে করা হয় তাহলে এক্ষেত্রে অভিযোগের বিষয়টি তেমন থাকবে না। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এনসিটিবি কারিকুলাম প্রণয়নে যেমনিভাবে ১/২ মাসের সময় নিয়ে তাড়াহুড়া করে, একইভাবে বই লেখা নিয়েও ২/৩ মাসের বেশি সময় দেয়া হয় না। অথচ অনেক সময় ফাইল মন্ত্রণালয়ে যথেষ্ট সময়ক্ষেপণ করে। এসব কারণে পাঠ্যবইয়ের ওপর সুবিচার করা সম্ভব হয় না। আশা করি অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ভবিষ্যতে শিক্ষা নিয়ে নতুনভাবে কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক রচনা এবং সম্পাদনার কাজটি মানসম্মতভাবে সম্পন্ন করা হবে। বইয়ের বুঝা নয় বরং আনন্দঘন পাঠ্যবই যেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে আনন্দঘন করে তোলে। তবে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন শিক্ষক নিয়োগে। আমাদের গোটা শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতম জায়গা হচ্ছে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের দারুণ অভাব। অতীতে এক্ষেত্রে নানা কারণে শৈথিল্য দেখানো হয়েছে। এখন উচ্চতর শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের আকর্ষণীয় বেতনভাতা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে শিক্ষাব্যবস্থার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে নিয়োগদানের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণদের এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুযোগ করে দেয়া জরুরি। আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধার কোনো সমস্যা আছে বলে মনে করি না। তাদের মেধার উন্মেষ ও বিকাশ ঘটানোর যেসব শিক্ষাগত উপকরণ শিক্ষক, বইপুস্তক ও পাঠ্যক্রম প্রয়োজন তাতে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। সে কারণেই এখন ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের (টিএসসি) প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষক পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেও সংখ্যা প্রকাশ করতে হয়। অথচ দেশে পলিটেকনিক্যাল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করছে। তাদের এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্যতার ভিত্তিতে উচ্চতর বেতন স্কেলে নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করা গেলে শিক্ষক ঘাটতি পূরণ হওয়া সম্ভব হতে পারে। আমাদের উপজেলাগুলোতে এখন বহু ধারার শিক্ষাব্যবস্থা চলছে এটি মস্তবড় অশনি সংকেত বলে মনে করি। সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক, টেকনিক্যাল এবং নানা ধরনের ভাষা ও প্রকৌশলগত শিক্ষালাভের সুযোগ করা গেলে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এই ধারাতে ফিরে আসতে পারে। আমাদের সেদিকেই ধাবিত হতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব দরজার কড়া সব দেশেই নাড়ছে। আমরাও এর বাইরে থাকতে পারব না। আমাদের প্রতিটি শিশু-কিশোরকে আমরা যদি জ্ঞানবিজ্ঞান, প্রকৌশল, ভাষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ধারাতে যুক্ত করতে পারি তাহলে বেকারত্ব আমাদের দেশ থেকেও দূর হতে কোনো সমস্যা দেখি না। কিন্তু যেভাবে আমরা চলছি, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যেভাবে চলছে তা অব্যাহত থাকলে খুব নিকট ভবিষ্যতেই আমাদের আরো অনেক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হতে পারে। এর থেকে মুক্ত হতে হলে মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থাকেই দক্ষ ও মানবসম্পদে পরিণত করার শিক্ষায় প্রবাহিত করতেই হবে। মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App