নীলজল দিগন্তে মুগ্ধতা ছড়িয়ে সৈকত উৎসবের সমাপনী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৫০ পিএম
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দারবান ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে প্রথম বারের মতো আয়োজিত পর্যটন শহর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ‘সৈকত সাংস্কৃতিক উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ছিল উৎসব প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৪৩ ফুট দীর্ঘ প্রতিকৃতি দুটি। সৈকতে আগত শত শত ঔৎসুক দর্শনার্থীরা ৭দিনের জন্য স্থাপিত প্রতিকৃতি দুটি দেখার জন্য ভিড় জমায়।
নীলজল দিগন্তে মুগ্ধতা ছড়িয়ে সমাপনী দিনের আয়োজন শুরু হয়েছে অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীদের পরিবেশনার মধ্যদিয়ে। এরপর সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে কক্সবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি। ‘দুঃখিনী বাংলা, জননী বাংলা’, ‘মঙ্গল হোক এই শতকে’ ও ‘বুকের ভিতর আকাশ’ গানটির সাথে নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। একক সংগীত পরিবেশন করেন একাডেমির সংগীত শিল্পী সুচিত্রা, সেতু ও রূপসা। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো চট্টগামের মাইজভাণ্ডারি গান এবং বাংলাদেশের প্রথম ব্যাণ্ডদল স্পন্দনের পরিবেশানায় ব্যান্ড সংগীত।
একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীরা পরিবেশন করে পাইপ ব্যালেন্স, দিয়াবো ব্যালেন্স, রোপ রাউন্ড, রোলার বালেন্স, মার্শাল আর্ট, হাই সাইকেল ও রিং ডান্স। এরপর বান্দরবানের পাঁচটি সম্প্রদায়ের নৃত্য পরিবেশিত হয়। পাংখুয়া সম্প্রদায়ের পুষ্পনৃত্য, খেয়াং সম্প্রদায়ের মাছ ধরা নৃত্য, তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের যুগলনৃত্য, লুসাই সম্প্রদায়ের জীবন ধারা নৃত্য এবং চাক সম্প্রদায়ের জুম নৃত্য পরিবেশিত হয়।