×

জাতীয়

৪৪ প্রতিষ্ঠানকে ১২ কোটি ৪১ লাখ টাকা জরিমানা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৫:২৬ পিএম

৪৪ প্রতিষ্ঠানকে ১২ কোটি ৪১ লাখ টাকা জরিমানা

জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি

এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেছেন, ২০১৯ সালে মিডফোর্ডসহ সারা দেশে নকল-ওষুধ অসুধ উৎপাদন ও বিক্রির দায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতে ২১৪৫টি মামলা দায়ের করে ১২ কোটি ৪১ লাখ ৬ হাজার ৪৮৪ টাকা জরিমানা, ৩৯জনকে কারাদ-, ৪৪টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে এবং আনুমানিক ৩১.৭৬ কোটি টাকা মূল্যের নকল ভেজাল ওষুধ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া আদালতের নির্দেশে আনুমানিক ৪৬.৬২ কোটি মূল্যের মেয়াদউর্ত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়। বৃহষ্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, গত বছর এ কারণে ৪১টি অসুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, ৩টি প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন স্থগিত এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৯টি অসুধের উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া মানবহির্ভূত হওয়ায় ৯টি অসুধের নিবন্ধন বাতিল ও ড্রাককন্ট্রোল কমিটি ( ডিসিসি) দ্বারা ৯৯টি জেনেরিক ওষুধ বাতিল করা হয়েছে।

বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানাার এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে বর্তমানে ৭০টি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এসব মেডিকেল কলেজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বিএমএ-ডিসি সময়ে সময়ে পরিদর্শন করে। এছাড়া মেডিকেল কলেজ স্খাপণ ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১১ (সংশোধিত) অনুযায়ী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মান মনিটরিং করা হয়। একই সাথে অধিভুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এ- ডেন্টাল কাউন্সিল হতে মনিটরিং করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম নেয়া হয়।

একই এমপির অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অসুধ প্রশাসন অধিদপ্তর শুধুমাত্র এ্যালোপ্যাথিক অসুধের অনুকুলে মূল্য সনদ প্রদান করে। ১৯৯৪ সালের আদেশ ও মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্তের আলোকে প্রাইমারী হেলথকেয়ার তালিকাভুক্ত ১১৭টি জেনেরিকের বিভিন্ন ডোজেস ফর্মের অসুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সরকার নির্ধারণ করে থাকে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App