×

পুরনো খবর

শেষ হলো সাংস্কৃতিক উৎসব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:৩০ পিএম

শেষ হলো সাংস্কৃতিক উৎসব
শেষ হলো সাংস্কৃতিক উৎসব
শেষ হলো সাংস্কৃতিক উৎসব

জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বহুমূখী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২১ দিনব্যাপী দ্বিতীয়বারের মতো ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করেছে। দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই শিল্পযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। ঐহিত্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও সারাদেশের শিল্পীদের বিভিন্ন নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা। উৎসবে প্রতিদিন ৩টি জেলা, ৩টি উপজেলা, জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা থাকবে। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) উৎসবের সমাপনী সন্ধ্যায় নন্দনমঞ্চের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব মো:. বদরুল আনম ভূঁইয়া। আলোচনা শেষে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এরপরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় কোলাজ গান পরিবেশন করে শিল্পী সাফান, সুপ্ত, শুশমী, অমিত, সাফিন ও লিতি।

বরগুনা জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, বাবুল কৃষ্ণ সাহা’র পরিচালনায় ‘সাগর পাড়ের মানুষ মোরা, বিশ্ববাসী চিনলো তোমায়’ সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী প্রতাপ, সুজন, রক্তিম, আকাশ, প্রবাস, ঝুমা, নিশাত, হিরা, দিপান্বিতা, আশালতা ও সানিয়া। মেহেদী হাসান বেলালের নৃত্য পরিচালনায় ‘মোগো মেজাজ বোলে গরম এবং দেশে দস্যু এলো মেলা’ সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী মেহেদী, নিশাদ, শাহরিয়া, নাঈম, রিফাত, অন্ত, দীপ্তি, তাহরিমা, ফারজানা ও জিসমি। যন্ত্রে সোহিনী রাগ পরিবেশন করে শিল্পী বাবুল, কালিদাস, আরিফুর রহমান, শিপন, বিপুল, শুভ ও শামিম হোসেন। একক সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী মিলন চন্দ্র কর্মকার।

মুন্সিগঞ্জ জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘শোক একটি মুজিবরের থেকে ও বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ সমবেত সঙ্গীত এবং ‘দে তালি বাঙালি ও কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানের কথায় দুটি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে মুন্সিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্য শিল্পীবৃন্দ, গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙ্গামাটির পথ যন্ত্রে সুর তোলেন মুন্সিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির যন্ত্রশিল্পীবৃন্দ। একক সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী শিশির রহমান এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী শিতল। খাগড়াছড়ি জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘শৈল থেকে সমতটে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও বাঙালি জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত দেশাশ্ববোধক গান এবং একটি মুজিবরের থেকে’ দুটি সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী মো. ফারুক, মো. জুয়েল. উত্তম রায়, নিয়ং মারমা, সুমি আক্তার, অনুশ্রী চাকমা, উলিপ্রু মারমা, উক্রাসং মগ, পাখী ত্রিপুরা, তৃষিতা চাকমা, প্রত্যাশা চাকমা ও সুকর্না দে। ‘চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও বাঙালি ভাষার গানের কথায় দেশাত্ববোধক গান এবং চাকমাদের ঐতিহ্যবাহী জুম নৃত্য’ পরিবেশন করে নৃত্যশিল্পী রিয়া চাকমা, রুবিনা চাকমা, রেশমী চাকমা, জেনিয়া চাকমা, হেলী চাকমা, সুফিয়া চাকমা, মেমাচিং মারমা, প্রমিস চাকমা, সাচিং মারমা, রুপান্তর চাকমা ও সমর বিজয় চাকমা। যন্ত্রে চট্টগ্রামের পাহাড়ী গানের সুর তোলেন শিল্পী গৌতম মনি চাকমা, প্রেমেন্দু চাকমা, মঙ্গল কান্তি চাকমা, রত্ন সেন চাকমা, ডেবিট চাকমা, মান্তি প্রিয় চাকমা, শ্যামল চৌধুরী, এস এস শ্রাবন ও রাকেশ দে। ‘মুজিব তোমার সোনার বাংলা’ পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের কন্ঠশিল্পী শাইলু শাহ ও অনুশ্রী চাকমা এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী শাফিন আরমান।

চট্টগ্রাম জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের কথায় সমবেত সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের শিল্পীবৃন্দ। এছাড়াও যন্ত্রসঙ্গীত এবং জাতীয় পর্যায়ের ও উপজেলা পর্যায়ের কন্ঠশিল্পীদের পরিবেশনায় একক সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

এ ছাড়া একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিমেয়ে মঞ্চস্থ হয় সজল কান্তি সরকারের রচনা ও গৌতম কর তপনের নির্দেশনায় এবং একতা নাট্য সংস্থার পরিবেশনায় ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ধামাইল পালা ‘রাই কিশোরী’। সংগীত পরিচালনায় সোহেল রানা ও কন্ঠশিল্পী ফারজানা আক্তার আশা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্চিনাগু-শ্রী কৃষ্ণ, সম্পা পাল-শ্রীমতি রাধা, মৌলি তালুকদার-বৃন্দা, নোভা চৌধুরী-ললিতে, রুহি দেবনাথ-বিশকে, মাশিয়াত সুবহে আলম মাহি-ভ্রমর এবং বৃষ্টি মন্ডল, পাখি বৈদ্য, পিংকি সরকার, বন্যা সরকার হিয়া, সাজনা আক্তার ইতি-সখিবৃন্দ। যন্ত্রে সহযোগিতা করেছেন কপির ঋষি, কৌশল দাস বিজন এবং সোহেল রানা। গত ৩ জানুয়ারি একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App