রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার রায় পড়া শুরু
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৩:১২ পিএম
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে আফ্রিকার দেশ গম্বিয়ার দায়ের করা মামলার রায় পড়া শুরু হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের হেগে স্থাপিত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) প্রেসিডেন্ট আব্দুল কাওয়াই আহমেদ ইউসুফ বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় রায় পড়া শুরু করেন।
মামলার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়ার আগে আব্দুল কাওয়াই আহমেদ ইউসুফ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়ের করা রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার অভিযোগগুলো বিষয়ে আদালতের যুক্তি তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে অভিযোগ যে সত্য সে বিষয়েও প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
অন্তবর্তীকালীন আদেশ ঘোষণার আগে আইসিজে প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার দায় মিয়ানমার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যাকাণ্ড, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের কারণে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের ওপর এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে গেল বছরের ১১ নভেম্বর আইসিজে মামলা করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। নেদারল্যান্ডসের হেগে গেল বছরের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর মামলার ওপর শুনানি হয়।
মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও সংঘাত আরো তীব্রতর না হওয়ার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানায় দেশটি।
তবে হেগে শুনানিতে অংশ নেয়া মিয়ানমারের নেত্রী শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সু কি গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার দাবি, এ বিষয়ে মামলা পরিচালনার এখতিয়ার জাতিসংঘের আদালতের নেই। গণহত্যার অভিযোগ খারিজ করতে বিচারককে আহ্বান জানিয়েছিলেন সু কি।
তবে গত ২০ জানুয়ারি মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতির কাছে রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’ তদন্তের সারসংক্ষেপ জমা দিয়েছে দেশটির স্বাধীন তদন্ত কমিশন (আইসিওই)। প্রতিবেদনে তারা উল্লেখ করেছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা, তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়াসহ অসম শক্তিপ্রয়োগ করেছে, যা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের সামিল। তবে সেটাকে গণহত্যা বলা যায় না।
আগের নিউজ পড়ুন-