×

সারাদেশ

শুধু একটি নয়, ২৬ বিদ্যালয়ের সনদ দেই আমি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২০, ১১:৫১ এএম

শুধু একটি নয়, ২৬ বিদ্যালয়ের সনদ দেই আমি
শুধু একটি নয়, ২৬ বিদ্যালয়ের সনদ দেই আমি
শুধু একটি বিদ্যালয়ের নয়, ২৬ টি বিদ্যালয়ের সনদ দেই আমি। লাগলে বিদ্যালয়ে এসে নিতে পারেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে এমনই ভাবে মুঠোফোনে নিজের ক্ষমতার কথা জানান চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাজীগাঁও শোলকাটা এস.জে নিজাম উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ফজলুল কবির। তিনি বিদ্যালয়ে বসে টাকার বিনিময়ে দেন অন্য বিদ্যালয়ের সনদ। তার ডাকনাম ফজলুল কবির হলেও বিদ্যালয়ের বেতন তুলেন ফজলুল করিম নামে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি চন্দনাইশের কানাইমাদরী আলহাজ অলি আহমদ বীর বিক্রম জুনিয়র বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভুয়া সনদ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আনোয়ারা উপজেলার বেলচুড়া গ্রামের নজির আহমদের পুত্র মোহাম্মদ সেলিম ও কৈখাইন গ্রামের মাওলানা শওকত আলীর মেয়ে সাদয়া সুলতানা সাইবাকে সম্প্রতি তিনি চন্দনাইশের আলহাজ অলি আহমদ বীর বিক্রম জুনিয়র বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেণী পাশের সনদ দিয়েছে বলে জানা গেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে হাজীগাঁও শোলকাটা এস.জে নিজাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রউফ মুঠোফোনে জানান, আমি ফোনে কারো সাথে কথা বলি না। সরাসরি দেখা করে কথা বলি। বিদ্যালয়ের সনদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দনাইশের কানাইমাদরী আলহাজ অলি আহমদ বীর বিক্রম জুনিয়র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিঠু কুমার দাশ বলেন, আমার জানা মতে আমাদের বিদ্যালয়ের ঐ নামে কোনো শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়নি। এই সনদ গুলো আমাদের বিদ্যালয়ের নয়, এগুলো বিদ্যালয়ের নাম দিয়ে জাল তৈরী করেছে। যারা জাল জালিয়াতির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস হোসেন বলেন, এবিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App