×

সারাদেশ

তীব্র শীতে ছুটির আগেই বাড়ি ফিরছে শিক্ষার্থীরা

Icon

nakib

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০৭:২৬ পিএম

তীব্র শীতে ছুটির আগেই বাড়ি ফিরছে শিক্ষার্থীরা
উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে আকস্মিকভাবে ঘন কুময়াশার পড়তে শুরু করেছে। এতে শীতের তীব্রতা হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। বিশেষ করে কুড়িগ্রাম জেলায় মৃদু শৈত প্রবাহ দেখা গেছে। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নারী, শিশু ও বয়স্করা। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খুব সকালে স্কুল কলেজ গেলেও হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় ছুটির আগেই বাড়ি ফিরছে। অনেক অভিভাবক বাচ্চাদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। স্কুলে থাকতে পারছে না। ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজারহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ঠান্ডার প্রকোপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউই ঘরের বাইরে যাচ্ছে না। কনকনে ঠান্ডার প্রভাব পড়েছে হাট-বাজার এবং বিপনী বিতানগুলোতে, এসব বাজারে লোকসমাগম নাই বললেই চলে৷ শহরের রাস্তাঘাট গুলো প্রায় ফাঁকা । কুড়িগ্রামে গত ২দিন ধরে আবারও তীব্র কুয়াশা ও মাঘের প্রচন্ড ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, ছিন্নমূল হতদরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে নেমে এসেছে দুর্বিষহ অবস্থা । হাড় হিম করা ঠান্ডায় এলাকার সর্বত্রই শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের মুখে পড়েছে, অনেকেই ঠাণ্ডাজনিত রোগে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন, মোটরসাইকেল হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। দুদিন ধরে আকাশে তীব্র মেঘের ঘনঘটা থাকায় সূর্য বেলা ০১ টার পর কিছুক্ষণের জন্য দেখা দিলেও তিনটার মধ্যে তা আবারো মেঘে ঢাকা পরছে। এদিকে তীব্র ঠান্ডায় বোরো চাষ ব্যাহত হচ্ছে, কৃষি শ্রমিকরা ঠান্ডার কারণে বোরো রোপন করতে হিমশিম খাচ্ছে, তীব্র ঠান্ডার কারনে বোর বীজতলা নিয়ে অনেক কৃষক শঙ্কায় রয়েছে। গৃহপালিত পশুরাও সঙ্কটের মুখে রয়েছে। হিমেল হাওয়ায় গরু মহিষ ছাগল সহ এসব পশুপাখি নানারকম রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। আজ সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেয়া যায়, কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় ছিন্নমূল মানুষ জড়োসড়ো হয়ে পড়েছে। মাঘের শুরুতে ঠান্ডার তীব্রতা এতটাই প্রকট যে কম্বল ও কাঁথা মুড়ি দিলেও শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডায় হিমসিম খাচ্ছে । মানুষের পাশাপাশি কৃষকরা তাদের গবাদি পশু গরু ছাগলের গায়ে চটের বস্তা জড়িয়ে দিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে । গরম কাপড়ের দোকানগুলো সরগম হয়ে উঠেছে। প্রচন্ড ঠান্ডার সুযোগে বাজারে গরম কাপড়ের দোকানীরা চড়া দামে কাপড় বিক্রি করছে। তিস্তা ও ধরলা নদীর পাড় এলাকায় বেশী কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় বেশিরভাগ বাড়িতে মানুষজনকে আগুনের কুন্ডলী জালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে । কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ সুবল কুমার সরকার জানান, ২১জানুয়ারী সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যা ২০জানুয়ারী ছিল ১২.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস । আগামী ৭২ ঘন্টায় তাপমাত্রা আরো হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি কুড়িগ্রামের কোথাও কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App