গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বর্তমানে তার মন্ত্রণালয় অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে কাজ করছে। গত এক বছরে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের দখল থেকে ১০৭ একর সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করে সরকারের আওতায় আনা হয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত এক বছরে ৯২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সোমবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির দেয়া ভাষণের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, যারা এদেশে দেশবিরোধী রাজাকার ও খুনীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলো তারাই এখন রাজনীতির নামে গোটা জাতিকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এদের প্রতিরোধ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

তার মন্ত্রনালয়ে গৃহিত পদক্ষেপের বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, রাজউকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় ভবন নির্মাণ অনুমোদনের জন্য আগে ১৬টি সংস্থার অনাপত্তি গ্রহণ অর্থাৎ ১৬টি ধাপ অতিক্রম করতে হতো। তবে এখন সেবা সহজীকরণের জন্য ১৬টি ধাপ থেকে ১২টি বাদ দিয়ে মাত্র চারটি ধাপে নামিয়ে আনা হয়েছে। সময়সীমা ১৬৫ দিনের পরিবর্তে ৫৩ দিন পুনর্র্নিধারণ করা হয়েছে। ভবনের নকশা অনুমোদনের সময়সীমা ৪৫ দিনের পরিবর্তে ২০ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি, ব্যয় ও সময় সাশ্রয় হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, এছাড়া স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠী, বস্তিতে বসবাসকারী ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য সারা দেশে প্লট উন্নয়ন ও ফ্ল্যাট নির্মাণকাজও চলমান। তিনি বলেন, বিল্ডিং কোড আপগ্রেডেশনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঠিকাদারী কাজে অনিয়ম দূর করতে মন্ত্রণালয় থেকে ১৪ দফা নির্দেশনা দিয়েছি। এতে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এসেছে। আমরা সাসটেইবেল ডেভেলপমেন্টের জন্য কাজ করছি। ইতিমধ্যে এশিয়ান টাউনশীপ এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে আমাদের পূর্বাচল প্রকল্প।