×

সারাদেশ

তজুমদ্দিনে ২শ হেক্টর জমি অনাবাদি থাকার আশংকা

Icon

nakib

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:৪৮ পিএম

তজুমদ্দিনে ২শ হেক্টর জমি অনাবাদি থাকার আশংকা

বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া বীজতলা

অসময়ে বৃষ্টির কারণে ভোলার তজুমদ্দিনে আলু চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে রোপণ করা বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে এ উপজেলায় এবার প্রায় ২শ হেক্টর জমি অনাবাদি থাকার আশংকা করছে কৃষি অফিস। তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবছর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৩৭০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষমাত্রা নিধারণ করে। সারের দাম ও বীজ নিয়ন্ত্রনে এবং পরিবেশ অনুকূলে থাকায় শেষ পর্যন্ত লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ৪শ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করেন কৃষকেরা। গত কয়েকদিন পূর্বে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একদিনের টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি প্রায় ২শ হেক্টর জমির আলুর বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। একাদিক কৃষকের সাথে আলাপকালে জানা যায়, এসব এলাকার অধিকাংশ কৃষকেরা অধিক ফলনের আশায় ডায়মন্ড জাতের আলুর চাষ করে। এবছর তারা মৌসুমের শুরুতেই সার বীজ সংগ্রহ করে জমি প্রস্তুত করে। কিন্তু বীজ রোপনের পর চারা গজানোর আগেই বৃষ্টি হয়ে সম্পন্ন বীজ নষ্ট হয়ে যায়। পানি শুকানোর পর পুনরায় এসব জমিতে অন্য ফসলেরও চাষ করাও সম্ভব নয়। যার কারণে এসব জমি এবছর খালি পড়ে থাকবে। এতে লোকসানের মুখে হতাশা হয়ে পড়ে কৃষকেরা। শম্ভুপুর ইউনিয়নের কৃষক আঃ মান্নান বলেন, বুক ভরা আশা নিয়ে ধার দেনা করে প্রায় সাড়ে ৩ একর জমিতে আলুর বীজ রোপণ করি। প্রতি একর জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। বীজতলা থেকে চারা গজানোর আগেই বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে যায়। পানি সরানোর চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। সম্পন্ন বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার বেশি ক্ষতি হয়। এখন কীভাবে ধার কর্জ করা এসব টাকা পরিশোধ করবো তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। চাঁচড়া ইউনিয়নের কৃষক শাহে আলম বলেন, ৮০ শতাংশ জমিতে উন্নত মানের বীজ সংগ্রহ করে আলু চাষ করেছি। জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে সার, বীজ সংগ্রহ ও রোপন করা পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। বিগত বছরের লোকসান কাটিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় আলু আবাদ করলেও বৃষ্টির কারণে সম্পন্ন বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সকল আশাই মাঠিতে মিশে যায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন বলেন, তজুমদ্দিনে এবছর লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি উন্নত জাতের আলুর চাষ হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে প্রায় ২শ হেক্টর জমির আলুর বীজতলা নষ্ট হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। চাষাবাদের সময় না থাকায় এসব জমি এবছর অনাবাদি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কৃষকেরা চাইলে মুগ ডালের চাষ করে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারে।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App