×

জাতীয়

ছাত্রলীগ হবে সমাজ ও রাষ্ট্রের মডেল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২০, ১০:০৫ পিএম

ছাত্রলীগ হবে সমাজ ও রাষ্ট্রের মডেল

ভোরের কাগজ-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব চৌধুরী

সর্বস্তরে এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নে তৃণমূল থেকে নেতৃত্ব তৈরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে তরুণদের ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় উৎসাহী করে তুলতে হবে। এমনটাই মনে করছেন জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি রাকিব চৌধুরী ভোরের কাগজ লাইভ-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করা ছাত্রলীগ কখনো চাঁদাবাজি করতে পারে না। ছাত্রলীগকে হতে হবে সমাজ ও রাষ্ট্রের মডেল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার সাজ্জাদ হোসাইন দায়িত্ব নেয়া তো বেশিদিন হয়নি। কেমন লাগছে? এই এতো গেল মাসের (ডিসেম্বর) ২৮ তারিখে দায়িত্ব পেলাম। এর মধ্যে ৪ জানুয়ারি সংগঠনের (ছাত্রলীগ) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হয়ে গেল। এরপর বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর নানা আয়োজন। দায়িত্ব নেয়ার পরই একটার পর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে আসছে। ব্যস্ততাতেই কাটছে সময়। উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য বেঁধে দেয়া ১৫ দিনের মধ্যে তো কমিটি দিতে পারলেন না। কেন? কবে নাগাদ পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হবে? কমিটি ঘোষণার পর পরই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ব্যস্ততার পাশাপাশি সাংগঠনিক দিক বিবেচনা করেই কমিটি দিতে বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া সেশন জট থাকার কারণে কমিটি দিতে দেরি হচ্ছে। সব কিছু বিবেচনায় এক থেকে দুই মাস লাগতে পারে।
কমিটিতে স্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে কী কী যোগ্যতা বিবেচনা করবেন? কমিটিতে যাদের আনবো তাদের বায়োডাটা যাচাই-বাছাই প্রয়োজন আছে। সদস্য বানানোর আগে দেখতে হবে, কে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান আর কে জামাত-শিবিরের, কে বিএনপি পরিবারের এবং তাদের ছাত্রত্ব আছে কি না? বিভিন্ন সময় সংগঠনের জন্য যারা কাজ করছে তাদের একটা ডাটাবেজ আমাদের কাছে আছে। সেই ডাটাবেজ অনুযায়ী কমিটি দেয়া হবে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বিষয় দেখা হচ্ছে? সংগঠনের প্রতি আবেগ অনুভূতি এবং অর্পিত দায়িত্ব-কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকা আবশ্যক। তাছাড়া, অধ্যায়নরত আছে কি না, বয়সসীমা, আওয়ামী পরিবারের সন্তান কিনা। এবং দেশ ও দশের সেবায় নিজেকে সমর্পণ করার মানসিকতা থাকতে হবে। কমিটি হওয়ার পর বিদ্রোহী কোনো গ্রুপ সক্রিয় আছে কিনা? হ্যাঁ ছিল। উপজেলা কমিটি ঘোষণার আগে তেমনটা ছিল। তবে কমিটি হওয়ার পর কোনো গ্রুপ দেখা যায়নি। সবাই আমাকে সাপোর্ট করছে। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর মূল সংগঠনসহ অন্যদের সহায়তা পাচ্ছেন কেমন? হ্যাঁ। সবাই আমাকে ভালো সাপোর্ট দিচ্ছেন। কারণ সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে।
শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আপনার ভাবনাটা কী? ‘শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ, শেখ হাসিনার সোনার বাংলাদেশ’ এই স্লোগান নিয়েই কাজ করছি। তবে ছাত্রদের আমি বলবো যে পড়াশুনার পাশাপাশি রাজনীতিতেও সময় দিতে হবে। পড়াশোনা নষ্ট করে রাজনীতি দরকার নেই। কারণ মেধাবীদের জন্যই ছাত্ররাজনীতি।
ছাত্রলীগ পরিচয়ে যারা স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে তাদের বিষয়ে কী বলবেন? পদ-পজিশন, ক্ষমতা যদি আপনি আপনার ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের মানসিকতা রাখেন, তাহলে শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির এই পবিত্র পতাকা আপনার হাতে নিতান্তই বেমানান। হাসিমুখে ভালোবাসা দিয়ে ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করে তাদের অন্তরে শ্রদ্ধা-ভালোবাসার স্থান করে নিতে হবে। মূলত ছাত্রলীগকে হতে হবে সমাজ ও রাষ্ট্রের মডেল। আপনি সংগঠনকে কী দিতে চান? সংগঠনের জন্য আমি অনেক কিছু করতে চাই। কারণ, এই সংগঠন আমাকে জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে সব জায়গায় পরিচিতি দিয়েছে, মর্যাদা দিয়েছে। আমার মূল উদ্দেশ্য, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা। এই দুটো বিষয়ে যেন নিজেকে পরিপূর্ণভাবে দিতে পারি, সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাকে ও ভোরের কাগজ পরিবারকে ধন্যবাদ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App