মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পাল্লাতল চা বাগানে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই প্রতিবেশীকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নির্মল নামের এক ব্যক্তি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।  রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ঘাতক নির্মল, তার স্ত্রী জলি (৩৬) ও শাশুড়ি লক্ষ্মী (৫৫) এবং পাশের ঘরের বসন্তবাবু (৫৫) ও বসন্তবাবুর মেয়ে শিউলি।

জানা যায়, নির্মল নামে ওই ব্যক্তি প্রথমে তাঁর স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এরপর ঠেকাতে আসলে প্রথমে শাশুড়িকে এবং পরে দুই প্রতিবেশীকে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলে নির্মল নিজের ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তবে এই ঘটনায় বসন্তবাবুর স্ত্রীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বড়লেখা থানার কর্তব্যরত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রোকসানা বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। চা বাগানে স্ত্রী-শাশুড়িসহ চার জনকে হত্যার পর ঘাতক আত্মহত্যা করেছেন। অভিযুক্ত নির্মল মাদকাসক্ত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে নির্মল নামে ওই যুবক চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। নির্মল ছাড়া চারজনই চা বাগানের শ্রমিক।

চা বাগানের একজন কর্মকর্তা জানান, নির্মলের বাড়ি এই এলাকায় নয়। বছর খানিক আগে জলির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তারপর থেকে তিনি শ্বশুর বাড়িতেই থাকছিলেন।

প্রতিবেশীরা জানান, ভোর ৫টার দিকে নির্মল ও ডলির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে জলিকে মারধর করতে থাকলে জলি দৌড়ে অন্য ঘরে বাবা মায়ের কাছে চলে আসে। তখন নির্মল ধারালো অস্ত্র দিয়ে জলিকে কোপাতে থাকে। মেয়েকে রক্ষা করতে শাশুড়ি ছুটে আসলে তাঁকেও কোপায় নির্মল। এরপর বসন্ত ও শিউলি সেখানে আসলে দুজনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে নির্মল। পরে চারজনের মৃত্যু হলে নির্মল নিজের ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করে।

https://www.youtube.com/watch?v=fdLoKQ1_CeI