স্কোয়াশ চাষে সফলতা, ধারণাই নেই কৃষি কর্মকর্তার!
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০৫:৫৬ পিএম
রাণীনগরের সফল স্কোয়াশ সবজি চাষি আনোয়ার হোসেন। ছবি: ভোরের কাহজ।
মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি সফল একজন স্কোয়াশ চাষি। স্কোয়াশের গায়ের রং মিস্টি কুমড়ার মতো। দেখতে শসার মতো লম্বা। প্রথমবারের মতো আট শতক জমিতে স্কোয়াশ চাষ করেছেন তিনি। তবে কোন পরামর্শ পাননি স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে। নতুন এই সবজি চাষে ধারণা নেই বলে জানালেন কৃষি কর্মকর্তা। রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, স্কোয়াশ সবজি চাষে আমাদের তেমন ধারণা নেই। এই অঞ্চলে স্কোয়াশ নতুন করে চাষ হচ্ছে। স্কোয়াশ চাষ বেশ লাভজনক সবজি। আশা করছি, আগামী মৌসুমে ব্যাপক আকারে স্কোয়াশ চাষ হবে।
মো. আনোয়ার হোসেনের বাড়ি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায়। গ্রামের নাম কালিগ্রাম দীঘিরপার। তিনি আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে ঝিঙ্গা, লাউ, মূলা, টমেটো, বাঁধা ও ফুল কপিসহ বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ করছেন। আদমদীঘি উপজেলার একজন বীজ বিক্রেতার পরামর্শে পরীক্ষামূলকভাবে স্কোয়াশ চাষ করেন। বাড়িতে মিস্টি কুমড়া বা লাউয়ের মতো বীজ বপন করে গাছ গজান। তারপর জমিতে রোপণ করেন। প্রায় দেড় মাস পর ফল আসতে শুরু করে। স্বাদে ও পুষ্টিতে মিস্টি কুমড়ার মতো স্কোয়াশ। মিস্টি কুমড়ার গাছ অনেক লম্বা হয়। তবে স্কোয়াশের গাছ সর্বোচ্চ এক-দেড় ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এই সবজি পাহাড়ি এলাকায় চাষ হয়।
উপজেলার সিম্বা গ্রামের সৌরভ খন্দকারও চাষ করেছেন স্কোয়াশ। তিনি তিন কাঠা জমিতে স্কোয়াশ চাষ করেছেন। সফলতা তারও আসে। পেয়েছেন। বাজারে এর চাহিদা আছে প্রচুর। প্রতি পিস বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। প্রতিটি স্কোয়াশ দেড় থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই এলাকায় স্কোয়াশ নতুন হওয়ায় এর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ও ক্ষেত দেখতে আসছেন স্থানীয় অন্যান্য সবজি চাষীরা।
স্কোয়াশ চাষি আনোয়ার হোসেন জানান, প্রায় ৮ শতক জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে স্কোয়াশ চাষ করা হয়েছে। বীজ ক্রয়, জমি প্রস্তুত, লাগানো এবং সার, কিটনাশকসহ প্রায় দেড় হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত জমি থেকে প্রায় ছয় হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করেছেন। প্রথম চাষ হওয়ায় খরচ একটু বেশি হয়েছে। অধিক লাভ হওয়ায় আগামীতে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে স্কোয়াশ চাষ করবেন।