গণহত্যাকারী মিয়ানমারের পাশে দাড়ালো চীন
nakib
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০৭:৪৬ পিএম
চীন- মিয়ানমারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফরে শুভেচ্ছা বিনিময়
চীন- মিয়ানমারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফরে শুভেচ্ছা বিনিময়
চীনের সাথে অবকাঠামো উন্নয়নে বেশ কয়েকটি চুক্তি করেছে মিয়ানমার সরকার। দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রমবর্ধমানভাবে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে প্রতিবেশী ও পশ্চিমাদের দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মিনানমারকে কাছে টানছে চীন। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে প্রধান মিত্র চীনা প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
১৯ বছর পর শনিবার ২ দিনের সফরে মিয়ানমার সফর করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং। চীনের বেল্ট রোডের প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত প্রায় ৩৩ টি চুক্তি স্বাক্ষর হয় দেশ দুটির মাঝে। তবে চুক্তিগুলোর মাঝে নতুন বড় কোন প্রকল্প না থাকার বিষয়টিকে বিশ্লেষকরা মিয়ানমারের খুব সচেতন পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।
মিয়ানমার-চীন অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণে প্রায় বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়। যার আওতায় চীন থেকে ভারত সাগর পর্যন্ত রেলসংযোগ স্থাপনকরা এবং সংঘাতপূর্ণ রাখাইন প্রদেশে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কথা রয়েছে। চীনের অর্থায়নে ২০১১ সাল থেকে চলমান একটি বিতর্কিত মেঘা বাধ নির্মাণের বিষয়ে তারা কোন মন্তব্য করেনি। এর আগে শুক্রবার দেশ দুটির মাঝে সম্পর্ককে ‘ নতুন যুগ’ বলে অভিহিত করেছিলেন শি জিনপিং।
দেশ দুটির মধ্যে অনেক আগে থেকেই সম্পর্ক রয়েছে তবে ২০১৭ থেকে যখন বিশ্বব্যাপি গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছিলো তখন তাদের মাঝে এ সম্পর্ক আরো গভীর হয়। জাতিসংঘসহ সারা বিশ্ব যখন রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে সোচ্চার তখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়ে আসছিলো চীন। গণহত্যার বিচারের মুখোমুখি মিয়ানমারে এ সফরের মাধ্যমে চীন নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের জানান দিল এবং দেশটিকে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিল।