×

সম্পাদকীয়

অভিনন্দন রাজশাহী রয়্যালস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০৬:৫৭ পিএম

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনালে ২১ রানে খুলনাকে হারিয়ে বিপিএল শিরোপা জিতল রাজশাহী রয়্যালস। ১৭১ রানের টার্গেটে ছুটে ১৪৯ রানেই থেমে যায় খুলনা। আগের বিপিএলের ৭টি আসরে ৩টি ভিন্ন দল চ্যাম্পিয়ন হলেও নতুন আদলে সাজানো এই আসরের প্রথম শিরোপা উঠল রাজশাহীর ঘরে। অভিনন্দন রাজশাহী রয়্যালস। ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই, চার ও ছক্কার ফুলঝুরি ও বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের বিপিএলের পর্দা নামল। বাংলাদেশ ক্রিকেটপাগল জাতি। আমরা দেখেছি বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসরের পরই ক্রিকেট বিশ্বে এতদিন উত্তাপ ছড়িয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ভারতের আইপিলের কল্যাণে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সাত বছর ধরে একই উন্মাদনা আমরাও দেখছি দেশের মাটিতে। গত শুক্রবার জনজোয়ার জেগেছিল মিরপুরে। ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে দর্শকদের মধ্যে বাড়তি রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। রাজশাহী রয়্যালস ও খুলনা টাইগার্সের মধ্যকার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। এবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলে অংশ নিয়েছে মোট সাতটি দল। দলগুলো যথাক্রমে- ঢাকা প্লাটুন, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, রাজশাহী রয়্যালস, সিলেট থান্ডার, প্রিমিয়ার ব্যাংক খুলনা টাইগার্স, রংপুর রেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

দেশের সাত জেলার নামের সঙ্গে কৌত‚হলোদ্দীপক অভিধা বা বিশেষণ নাম জুড়ে দিয়ে তৈরি দল জানিয়ে দিয়েছে এ প্রতিযোগিতার স্বাতন্ত্র্য। এটি বিপিএলের অষ্টম আসর। ৭টি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক দলের সমন্বয়ে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো বিপিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। বিপিএলই দেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ, যেখানে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন ক্রিকেটাররা। ভালো সম্মানী দেয়ায় এই টুর্নামেন্টটি উৎসবের রং এনে দেয় খেলোয়াড়দের মধ্যে। টিভিতে খেলা সম্প্রচার হওয়ায় প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের চেনানোরও একটা মঞ্চ বিপিএল। তাই এই টুর্নামেন্ট ঘিরে ৪০ থেকে ৪৫ দিন দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের মিলনমেলায় পরিণত হয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অষ্টমবারের মতো বিপিএল আসর করে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। যদিও আগের আসরগুলোতে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তবে এবারের আসরে অন্যরকম বলা যায়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবারের আসর সম্পন্ন হলো। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গৌরবের। দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটারের জন্য বিপিএল আর্থিক নিশ্চয়তার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় দলের হয়ে খেলার চেয়ে অধিকতর বাণিজ্যিক এ আয়োজনে খেলোয়াড়দের উপার্জন আরো সম্মানজনক হয়ে থাকে। এর আগে বিদেশি অনেক ক্রিকেটার তাদের চুক্তি অনুযায়ী টাকা পাননি। এ ধরনের অভিযোগ দুঃখজনক। এতে আমাদের দেশের সম্মানহানি ঘটে থাকে। সুতরাং এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমরা শুনতে চাই না। ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হলেই আমাদের সব আয়োজন সার্থক হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App