ফিলিস্তিনে ধরাশায়ী শ্রীলঙ্কাও
nakib
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ১০:০০ পিএম
স্বাগতিকদের মতো শ্রীলঙ্কাও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিনের নিকট ধরাশায়ী হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে পাকির আলির শিষ্যরা। আর এই টানা ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ফিলিস্তিন।
আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু থেকে লংকানদের ওপর আক্রমণ অব্যাহত রাখে ফিলিস্তিন। তবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। শেষ পর্যন্ত ইনজুরি সময়ে ফিলিস্তিন গোলের দেখা পায়। ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটে আবু আরদা এবং ষষ্ঠ মিনিটে খালেদ সালেমের গোলে শেষ চারের টিকেট নিশ্চিত করে তারা। ফিলিস্তিন তাদের প্রথম ম্যাচে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে। অবশ্য হারলেও সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি দ্বীপ রাষ্ট্রটির। ‘এ’ গ্রুপের নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা বাংলাদেশকে হারালেই উঠে যাবে শেষ চারে।
শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত ফিলিস্তিন। তৃতীয় মিনিটে সামি আলমাসালমার ক্রস গোলরক্ষকের পায়ে লেগে লাফিয়ে ওঠার পর রেবাল দাহামাসির ব্যাকভলি অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধেও শ্রীলঙ্কার রক্ষণে কাঁপন ধরিয়ে দেয় ফিলিস্তিন। কিন্তু গোল অধরাই থেকে যায়। খেলার ৫৫ মিনিটে সামির হেড গোললাইন থেকে ফেরায় শ্রীলঙ্কার এক ডিফেন্ডার। একটু পর মোহামেদ দারউইশের ফ্রি কিক যায় গোলরক্ষক বরাবর। ফিলিস্তিনের আরেকটি সুযোগ নষ্ট হয় ৭১তম মিনিটে। দাউদ ইরাকির শট ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার রক্ষাকর্তা হন গোলরক্ষক। অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে গোলের অপেক্ষা শেষ হয় ফিলিস্তিনের। সামেহ মারাবাহর ক্রসে মাহমুদ আবুরাদার বুলেট গতির হেড চোখের পলকে জালে জড়ায় (১-০)। এরপর প্রতিআক্রমণ থেকে খালেদ সালেম লক্ষ্যভেদ করলে (২-০) জয় নিশ্চিত হয়ে যায় দলটির।
ওদিকে সেমিফাইনালে খেলতে হলে জেমি ডের শিষ্যদেরও জিততে হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি ড্র হলে ৯০ মিনিট শেষে টাইব্রেকারের মাধ্যমে গ্রুপের অন্য সেমিফাইনালিস্ট নির্ধারণ হবে। কারণ, তখন হেড টু হেড এবং গোল গড় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার একই থাকবে। সেক্ষেত্রে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই দুদলের সামনে। আগামী রবিবার ১৯ জানুয়ারি গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।
এবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ২ গ্রুপে ভাগ হয়ে ৬টি দল অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়াও খেলছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন, শ্রীলঙ্কা, সেশেলস, মরিশাস ও বুরুন্ডি। আসরের অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মান নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এমন সমালোচনায় বিব্রত নন; মানসম্মত দলগুলোকে নিয়েই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হচ্ছে বলে দাবি করছেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার। বরং এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে চিন্তিত সালাউদ্দিন। তার ভাষায়, ‘এখন আমি ভাবছি সেমিফাইনালে গেলে বাংলাদেশের কী হবে যদি বুরুন্ডি বিপক্ষে থাকে। দলগুলোর পারফরমেন্সই পরিষ্কার যে তারা ভালো দল।’
ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি। বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘আমরা ফুটবলারদের সব রকমের সুযোগ– সুবিধা দিচ্ছি। তাদের হয়ে মাঠে খেলে দিতে পারব না। আজ থেকে ৩৫ বছর আগে হলে বলতে পারতাম, মাঠে গোল দেয়ার চেষ্টা করব। আমাদের খেলোয়াড়দের মাঠে লড়াই করে খেলতে হবে। বাইরের লিগে তো বিদেশিদের সঙ্গে সবাই লড়াই করেই নিজেদের জায়গাটা তৈরি করে নেয় স্থানীয় খেলোয়াড়রা। আমাদের এখানেও তাই করতে হবে।’ এখন সময়ই বলে দিবে কী করবে জামাল ভূঁইয়ারা।