×

সারাদেশ

ঘুষকে নাশতার টাকা বলেন কর্মকর্তারা!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ০২:৫৭ পিএম

ঘুষকে নাশতার টাকা বলেন কর্মকর্তারা!
অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে ফেনী পোস্ট অফিসে। টাকা ছাড়া কোনো প্রকার সেবা মেলে না সেখানে। প্রতিদিনই হয়রানির শিকার হচ্ছে সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা। জেলা শহরের কলেজ রোডস্থ ফেনী হেড পোস্ট অফিস অবস্থিত। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পোস্ট অফিসে চিঠি আদান-প্রদান এখন আর আগের মতো নেই বললেই চলে। শুধমাত্র সরকারি ডাক আদান-প্রদান করে পোস্ট অফিসের কর্মচারীরা। মানুষ এখন বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এতে পোস্ট অফিসে কর্মচাঞ্চল্য আগের মতো নেই। সরকারি বেসরকারি ব্যাংকগুলো আমানতের ওপর লভ্যাংশ কমিয়ে দেয়ায় সাধারণ আমানতকারীরা এখন পোস্ট অফিসের সঞ্চয়পত্র নির্ভর হয়ে পড়েছে। কিন্তু এ পোস্ট অফিসে সঞ্চয়পত্রের সুদের টাকা উত্তোলন করতে গেলে গ্রাহকদের প্রতিটি টেবিলে দিতে হয় টাকা। এ জন্য তাদের খুশি করতে গ্রাহকরা শত টাকার নোট নিয়ে পোস্ট অফিসে প্রবেশ করেন। বুধবার ও বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে একাধিক নারী-পুরুষ গ্রাহক অভিযোগ করে জানান প্রত্যেক টেবিলেই টাকা দিতে হয়। গ্রাহকের লাভের টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে এমন পরিস্থির শিকার হন প্রায় প্রতিটি গ্রাহক। মোটবী ইউনিয়নের মো. সেলিম ও আর্জিনা আক্তার ২০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্রে সুদের টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে এমনি হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জানান। তারা জানান কর্মকর্তাদের টাকা না দেয়ায় সুদের টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। একইভাবে শহরের কদলগাজী রোডস্থ রহিমা আক্তার ৬ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও সহদেবপুরের কল্পনা রাণী ও একাডেমি এলাকার প্রবাস ফেরত নুর আলম জানান সঞ্চয়পত্রের টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে পোস্ট অফিস কর্মকর্তা ও ক্যাশ বিভাগে দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা লাভের টাকার মধ্যে শত টাকার নোটের পর যে পরিমান খুচরা টাকা হোকনা কেন তা তাঁরা রেখে দেন। অন্যদিকে সঞ্চয় টাকার ওপর লাভের অংশ উত্তোলন করতে গিয়ে পোস্টমাস্টার সকলের হাতেই প্রথমে ঘুষের টাকা বুঝিয়ে দিয়ে টাকা হিসাব নিতে হয়। এস জি অপারেটর গিয়াস উদ্দিনকে টাকা না দিলে সঞ্চয়পত্রের সুদের টাকার হিসাব মেলে না। হিসাব না পেলে টাকা উত্তোলন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে বলে তারা জানায়। অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন জানান, আমরা কাজ করে দিচ্ছি আমানতকারী লাভবান হচ্ছে, তাই নাশতার টাকা নিচ্ছি। ফেনী হেড পোস্ট অফিসের পোস্টা মাস্টার মো. শাহজাহান অভিযোগের সাথে একমত প্রকাশ করে বলেন, অন-অভিজ্ঞ লোক দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে, তাই অনেক অভিযোগ শুনলেও মেনে নিতে হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্য জেলার তুলনায় এ পোস্ট অফিসে নারী সঞ্চয় কারী সংখ্যা অনেক বেশি। তাই অনেক অনিয়ম হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App