×

সাহিত্য

ঐতিহ্যবাহী ‘অষ্টকপালা’য় মুগ্ধ দর্শক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৫১ পিএম

ঐতিহ্যবাহী ‘অষ্টকপালা’য় মুগ্ধ দর্শক
অষ্টক গান বা অষ্টক নাচ বাংলাদেশের প্রাচীন লোকজ সংস্কৃতির একটি অন্যতম প্রধান ধারা। এটি সাধারনত বাঙালি হিন্দু সমাজ চৈত্র সংক্রান্তির নানাবিধ আচার-অনুষ্ঠানের সময় আয়োজন করে থাকে। অষ্টক নামক গীত বা নৃত্যের উদ্ভব সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও এ বিষয়ে নানা ধরনের মতামত প্রচলিত আছে। কেউ বলেন এতে আটটি বৈষ্ণবীয় প্রসঙ্গ থাকায় কেউ বলেন প্রতি দলে আট জনে মিলে রাধাকৃষ্ণের উক্তি নাট্যধর্মী গীত পরিবেশন করায় অষ্টকগীত বা নৃত্যের উদ্ভব ঘটে। বিভিন্ন অঞ্চলে একে বিভিন্ন নামে চিহ্নিত করা হয়। অষ্টকগীত বা নৃত্যে গানের ভাষা আটপৌরে ও অতি সাধারণ হলেও এর আবেগ ও ভাবের প্রকাশ ছিল খুব হৃদয়গ্রাহী ও মনোমুগ্ধকর। এই গান সাধারণত খেয়ালের ঢংয়ে গাইলেন শিল্পীরা। সাংস্কৃতিক উৎসবে বৃহস্পতিবার শিল্পকলার নন্দন মঞ্চে নন্দিত অষ্টক গানে শিল্পীরা মুগ্ধতা ছড়ালেন দর্শকদের মাঝে। সুকলাল মন্ডলের পরিচালনায় এবং আলাল পুরের রাজবাগ অষ্টকদলের পরিবেশনায় অষ্টকপালা ‘চন্ডিদাস রজকীনি, অভিমন্যুবর, হালই গান’। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রতন বাসার, চন্ডিদাস, মঞ্জিলা গোলদার- রজকিনী, দোহার- দিরেণ বাওয়ালী, নৃত্য- কমলেশ বাশার, অনুপম বিশ্বাস, দোলা বাশার, বন্যা মল্লিক, সাগরিকা মল্লিক, নয়ন। যন্ত্রে সহযোগিতা করেছেন হারমনিয়ামে ত্রিশান বিশ্বাস, ঢোলে স্বপন মল্লিক, বাঁশিতে সমর মল্লিক এবং মন্দিরায় সাগর দাস বাশার। পরিবেশনার শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এরপর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। আজহারুল হক আজাদের পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে ‘বাক শিল্পাঙ্গন’। ভোলা জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, জেলার ঐতিহ্যবাহী আঞ্চলিক এবং উন্নয়নের গানের কথায় সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী মঞ্জুর আহমেদ, রেহানা ফেরদৌস, উত্তম ঘোষ, মৃদুল, শ্যামলী, মিতু, রূপা, সুমাইয়া, আমিরুল ও পলাশ। দেশাত্ববোধক গানে দুটি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী মুনা, তানজিন, অথৈ, দোলা, হোসেন, হাসিব, চিন্ময়, শাওন ও অভি। একক সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মঞ্জুর আহমেদ এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী রেহানা ফেরদৌস। দেশের গানে যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী ভাস্করচন্দ্র মজুমদার, মীর আনোয়ার, নিলয় ও ইমন। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি নাসির আহমেদ। সুনামগঞ্জ জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, লিয়াকত আলী লাকী’র কথা ও সুরে ‘এ মাটি নয় জঙ্গিবাদের এবং অনীষ তালুকদারের কথা ও দেবদাস চৌধুরী রঞ্জন এর সুরে ‘এখন পদ্মা মেঘনা সুরমা বহমান’ গানের কথায় দুটি সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী দীপু, সুবির বনিক, সুমন, মনির, রেদোয়ান, বৃষ্টি, কাকলী, বাবলী, শিপা ও ঝর্ণা। তুলিকা ঘোষ চৌধুরী’র নৃত্য পরিচালনায় ‘কোন গাঙ্গে আইলো পানি’ এবং ‘বাইজ্যো নারে শ্যামের বাঁশি’ গানের কথায় দুটি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পীস মির পল্লব, অমিত বর্মণ, আশীষ বর্মণ, আমজাদ হোসেন, দিবারতি ঐশি, অংকিতা দিয়া, মৌলি, প্রমি ও মৌমিতা। একক সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী পাগল হাসান পরিবেশন করে ‘আমি এক পাপিষ্ঠ বান্দা এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী মাকসুদুর রহমান দিপু পরিবেশন করে ‘গ্রামের নওজোয়ান’। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী রশিদ উদ্দিন, আলী আকবর, কপিল ঋষি ও অমিত বর্মণ। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: শামছুল আবেদীন। সাতক্ষীরা জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলাব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, আঞ্চলিক এবং দেশাত্ববোধক গানে সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী শ্যামল সরকার, কুমার ইন্দ্রজিত, শুভেন্দ্র সরকার, পার্থ, শহিদুল ইসলাম, সুস্মিতা সাহা, পূজা, তনিমা, শিরিনা ও দেবশ্রী। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী নুসরাত জাহান, অনন্যা সরকার, আখি, রিয়া, সাকিব, দেবাশিষ, দীপ্ত, রেজাউল ও মুক্তা। এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও উপজেলা পর্যায়ের শিল্পীদের পরিবেশনায় একক সঙ্গীত, সমবেত যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশিত হয়। সবশেষে ঝিনাইদহ জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, সমবেত সঙ্গীত, সমবেত নৃত্য, জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও উপজেলা পর্যায়ের শিল্পীর পরিবেশনায় একক সঙ্গীত এবং যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App