×

রাজনীতি

আমাদের নালিশ পার্টি বলা হয়: ইশরাক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ০২:২৭ পিএম

আমাদের নালিশ পার্টি বলা হয়: ইশরাক

বিএনপির প্রার্থী ইশরাকের প্রচারণা। ছবি: ভোরের কাগজ।

আমাদের নালিশ পার্টি বলা হয়: ইশরাক

নির্বাচনী প্রচারণা। ছবি: ভোরের কাগজ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘আমরা অভিযোগ দিলে সরকারি দলের নেতারা মন্ত্রীরা আমাদেরকে অভিযোগের দল ও নালিশ পার্টির দল বলে। আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, পোস্টার লাগাতে গেলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।আমরা কোনো অভিযোগ দেবো না। জনগণকে সাথে নিয়ে সকল অপশক্তি প্রতিরোধ করে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাব।’

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে খিলগাঁও ৭৫ নং ওয়ার্ডের ত্রিমোহনী বাজারে পঞ্চম দিনের নির্বাচনী প্রচারণা শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

ইশরাক বলেন, গত ১৩ বছর ধরে দেশকে তিলে তিলে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নাই, কারো কথা বলার অধিকার নাই এবং উন্নয়নের নামে ধোঁয়া কিন্তু আমরা কোন উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি না। ঢাকা আজকের সবচেয়ে দূষিত শহর এবং বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় এক নম্বরে আছে। আমি যখন এলাকায় আসি যে রাস্তা দিয়ে এসেছি তখন রাস্তাঘাটে যে দুর্দশা দেখেছি, যে বেহাল অবস্থা দেখেছি এবং দুই পাশে যে জলাশয়গুলো রয়েছে সেগুলোর যে করুণ দশা দেখেছি তাতে আমার সত্যিই খারাপ লেগেছে। এই সরকার বলে তারা উন্নয়ন করেছে, স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে অমুক সেতু তমুক সেতু কিন্তু এগুলো সবই আসলে দুর্নীতির প্রজেক্ট। প্রত্যেকটা মেগা প্রজেক্ট করছে সেখান থেকে লক্ষ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। বিদেশে আরাম-আয়েশে ফুর্তি করছে। আর বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের দুর্দশা বেড়েই চলেছে।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করতে চাই। যদি আগামী ৩০ তারিখে আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেন সেখান থেকে আপনাদের যে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন সেটিকে চূড়ান্ত রূপ দেয়ার জন্য আমি সকল কার্যক্রম করব। আপনাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করছি আমি সব সময় সুখে দুখে আপনাদের পাশে থাকব এবং এই উন্নয়নে যত যা কিছু আছে আমি আমার রক্ত ঘাম দিয়ে পরিশ্রম করে এই এলাকা উন্নত করব। এই এলাকার পরিবেশকে দূষণমুক্ত করার জন্য সকল কিছু করব।

[caption id="attachment_195361" align="aligncenter" width="700"] বিএনপির প্রার্থী ইশরাকের প্রচারণা। ছবি: ভোরের কাগজ।[/caption]

বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন এটি আমার ইশরাক হোসেনের লড়াই নয়। এটি ধানের শীষের লড়াই। জনগণের লড়াই। গণতন্ত্রের লড়াই। আপনারা সেই লড়াইয়ে শরিক হবেন। আপনারা ৩০ তারিখে উপস্থিত হয়ে ভোট দেবেন আমরা সেই পরিবেশ নিশ্চিত করবো।

পুজোর কারণে সনাতন ধর্মালম্বীরা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে সে প্রসঙ্গে ইশরাক হোসেন বলেন, আমি প্রার্থী হিসেবে মনে করছি অবশ্যই সনাতন ধর্মালম্বীদের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত। কারণ আমরা মুসলমানরা আমাদের যদি ঐ দিন ঈদ থাকতো। আমরাও নিশ্চয়ই চাইতাম না ঐ দিন ভোটদান হোক। তো ওনাদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে বলে আশা করছি । আর এটাতো কোর্টের ব্যাপার। নিশ্চয়ই কোর্ট আর ইলেকশন কমিশন মিলে এটা নির্ধারণ করবে।

লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হয়েছে কি-না জানতে চাইলে ইশরাক বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নয়, একটি ফিল্ড তৈরি হচ্ছে সেটি হলো ভোট ডাকাতির একতরফা ফিল্ড তৈরি হচ্ছে।

বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যখন এসব বিষয়ে কথা বলি তখন সরকারি দলের নেতারা মন্ত্রীরা বলেন বিএনপি নালিশ পার্টি, অভিযোগের দল। আমরা আর এসব কথা বলতে চাই না। আমরা খালি এতোটুকু বলতে চাই জনগণ আমাদের সাথে রয়েছে। জনগণের শক্তি নিয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ে আমরা এগিয়ে যাব। কারো কোনো বাধা আমরা মানবো না। কোনো নালিশ কাউকে দেবো না। মহান আল্লাহতালা উপরে আছেন উনি দেখছেন। নিচে আমাদের জনগণ রয়েছে। আমাদের শক্তি জনগণ।

ইসরাক আরও বলেন, আমাদের সকল পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে, আমরা তার পোস্টার লাগাচ্ছি তাদেরকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে। এমনও বলা হচ্ছে যদি আবার পোস্টার লাগাতে আসে তাহলে থানা পুলিশে দেবে। পোস্টার লাগানো কি অপরাধ। পোস্টার লাগানো তো অপরাধ নয় । তাহলে কেন থানা পুলিশে দেওয়ার হুমকির দেবে পোস্টার লাগাতে গেলে। আপনারা জানেন দেশে আজকে কি চলছে । আবার নতুন করে এখানে ব্যাখ্যা দেওয়ার কিছু নেই। আপনারা জানেন দেশে একটা স্বৈরশাসন চলছে। অপশাসন চলছে। একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। যা-ই হোক এর মধ্যে জনগণ আমাদের সাথে রয়েছে। আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাব।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনে নতুন করে যুক্ত হওয়া এলাকাগুলোর উন্নয়নে আমাদের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন যে ওয়ার্ডগুলো যুক্ত হয়েছে সে বিষয় নিয়ে আমরা আমাদের ইশতেহারে তুলে ধরবো। আপনার জানেন সরকার তো শহরের ভিতরে ওয়ার্ডগুলোতে ও নজর দেয় না। বাইরের ওয়ার্ডগুলো তো আরো দূরের কথা। যেহেতু তাদের জবাবদিহিতা নেই জনগণের প্রতি। তারা পুলিশি শক্তি ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছিল অতীতে। এখন জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা নেই। এই ব্যাপারে তারা কোনো কর্ণপাত করে না। জনগণকে সাথে নিয়ে সকল অপশক্তি আমরা প্রতিরোধ করবো এবং আমাদের বিজয় আসবেই। জনগণের বিজয় যুগে যুগে হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App