×

জাতীয়

রাজধানীর ৭১ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে ধূমপান হয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৫:০৬ পিএম

রাজধানীর ৭১ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে ধূমপান হয়

তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুসারে দেশের হাসপাতালগুলো সম্পূর্ণ তামাকমুক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ঢাকার ৭১ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে ধূমপান হয়। এমন প্রমাণ হিসেবে সিগারেটের বাট, ধোঁয়ার গন্ধ ইত্যাদি পাওয়া গেছে। আর এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে কাউকে না কাউকে সরাসরি ধূমপান করতে দেখা গেছে।

ঢাকার সব সরকারি হাসপতালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন পরিস্থিতি জানতে পরিচালিত এক জরিপের এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সেমিনারে এই জরিপের ফল তোলে ধরা হয়। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের অ্যান্টি-টোব্যাকো প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অফিসার ডা. আহমাদ খাইরুল আবরার সেমিনারে জরিপের তথ্য উপস্থাপন করেন।

সেমিনারের জানানো হয়, ঢাকার ৫১টি হাসপাতালে জরিপটি পরিচালিত হয়। জরিপে ঢাকার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে পানের পিক, চুনের দাগ দেখা গেছে। আর সরাসরি ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করতে দেখা গেছে প্রায় অর্ধেক হাসপাতালে। এ হার ৪৫ শতাংশ। ঢাকার ৮০ শতাংশ সরকারি হাসপাতালের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক পণ্য বিক্রি হয়। এমনকি ১৮ শতাংশ হাসপাতালের সীমানার মধ্যেই এমন দোকান রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে আগত রোগী ও দর্শনার্থীদের তামাক ছাড়ার ব্যাপারে সহায়তা দিতে তামাক নিবৃত্তকরণ ক্লিনিক থাকা জরুরি। কিন্তু ৫১টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র একটিতে এই সুবিধা রয়েছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক। প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য) শামীমা ফেরদৌস, বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির সভাপতি মোজাফফর হোসেন, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহসহ বিভিন্ন তামাকরিবোধী সংগঠনের সদস্য।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App