আসন্ন ঢাকা সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন না হলে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তার দায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় নেবে না বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন। তবে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা। তাই ভোটের তারিখ ৩০ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। ২৯ জানুয়ারি পূজা উপলক্ষে ঐচ্ছিক ছুটি। ৩১ জানুয়ারি পড়ছে শুক্রবার। আবার ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা। তাই সকল দিক বিবেচনায় নিয়েই ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি সরস্বতি পূজা। পূজার্থীদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। তারা ভোট দেবে নাকি পূজা করবে। আর পূজার দিন ভোট হলে তো পূজা করা যাবে না। কেননা, বেশি ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। আর পূজা তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই হয়। তাই পূজার দিন যদি ভোট হয়, দেশের বাইরে কী বার্তা যাবে। কেননা, সংখ্যালঘু আড়াই কোটি হিন্দু সম্প্রদায়ের এটা তো ধর্মীয় এবং সাংবিধানিক অধিকার। রানা দাশগুপ্ত আরো বলেন, আমরা আমাদের দাবি কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলেছে। তারা তাদের অবস্থানেই রয়েছে। তাই হতাশ মনে ফিরে যাচ্ছি। কমিশন বলেছে, সরকার যদি পরিবর্তন করে তারা ভোটের পরিবর্তন নিয়ে ভাববে। এছাড়া কোটে রিট আবেদনের শুনানি থেকে মঙ্গলবার নির্দেশনা আসবে। তারপরে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তিনি আরো বলেন, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি ছাড়া যে কোনো দিন ভোট হলে আমাদের আপত্তি নেই। যদি তারিখ পরিবর্তন করা না হয়, আর যদি কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। তবে আড়াই কোটি হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আমরা দায় নেবো না। এ সময় সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।