রাজধানীর ৭১ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে ধূমপান হয়

আগের সংবাদ

মধ্যভাগে বাণিজ্যমেলায় অফারের ছড়াছড়ি

পরের সংবাদ

দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, কারণ উদঘাটনে কমিটি গঠন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২০ , ৫:০৮ অপরাহ্ণ আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২০ , ৫:১০ অপরাহ্ণ

বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া কীর্তনখোলা-১০ এবং ঢাকা থেকে আসা ফারফান-৯ লঞ্চের সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। একইসঙ্গে ফরহান লঞ্চের মাস্টার ও চালককে গ্রেপ্তারসহ লঞ্চ আটকের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌঁনে একটায় বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ও চাঁদপুরের সীমান্ত এলাকা মাঝের চরে এই লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে করে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের এক শিশু ও এক নারী যাত্রী নিহত হন আর আহত হয় ৬ জন। আহতদের চাঁদপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গাড়ুরিয়া ইউনিয়নের ভান্ডারিকাঠি গ্রামের রুবেল খান আব্বাসের স্ত্রী মাহমুদা (২৪) ও তার শিশু পুত্র মুমিন খান (৭)। মৃতদেহ রাজধানীর সদরঘাটে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানির কাউন্টার ম্যানেজার ঝন্টু জানান, ঢাকা থেকে হুলারহাটগামী ফারহান লঞ্চটি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চের নিচতলা ও দোতলার অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে দুই যাত্রী নিহত ও কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। সংঘর্ষে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চের উপরিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তলা ঠিক রয়েছে।

ফারহান-৯ লঞ্চের কেরানী আল আমিন জানান, কুয়াশার কারণে লঞ্চটি দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ঢাকা থেকে হুলারহাটগামী এ লঞ্চটির ৫-৬ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।

ফরহান-৮ লঞ্চের মাস্টার মামুনুর রশীদ রওশন বলেন, মাঝের চরের ওই এলাকায় এর আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সরু চ্যানেল ও ডুবোচরের কারণে লঞ্চ চলাচলে সমস্যা হয়। যার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা সরকার মিঠু বলেন, দুর্ঘনটার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ আর প্রাথমিকভাবে দায়ী ফারহান লঞ্চের মাস্টার ও চালকে গ্রেপ্তারসহ লঞ্চটি আটকের জন্য পিরোজপুর জেলার পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে।

এনএম

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়