বিচারকের আচরণে এজলাস বর্জন আইনজীবীদের
nakib
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২০, ০৭:৩৩ পিএম
জেলা আইনজীবী সমিতির সংবাদ সম্মেলন
সিভিল মামলায় দুই জন নিরপরাধ মানুষকে বে-আইনী ভাবে জেল হাজতে প্রেরণ, বিচার প্রার্থী সাধারণ জনগণ সহ আইনজীবীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, সেচ্ছাচারিতা, অ-বিচারক সুলভ আচরণ এবং অনৈতিক ও বে-আইনী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে কুড়িগ্রাম জেলা ও যুগ্ম দায়রা জজ মো. তারিখ হোসেনের এজলাস বর্জন করে তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি।
আজ রোববার দুপুরে অ্যাডভোকেট এটিএম এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবীরা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জমিজমা সংক্রান্ত একটি সিভিল মামলায় বাদী ও বিবাদী আদালতের বাইরে সমঝোতা করার পর বাদী নার্গিস হক মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক বাদীর আবেদন আমলে না নিয়ে বে-আইনী ভাবে বিবাদী আসাদুর জামান সবুজ ও তার মা আসমা বেগমকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন যা সিভিল মামলায় ওই বিচারকের সম্পূর্ণ এখতিয়ার বহির্ভুত। শুধু তাই নয়, ওই বিচারক তার কোর্টের বেঞ্চ সহকারীকে বাদী করে উক্ত দুই বিবাদীর বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন যা আইনসম্মত নয়। এমতাবস্থায় জেলা ও যুগ্ম দায়রা জজ মো. তারিখ হোসেন বিচারিক কাজ পরিচালনার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বে-আইনী ভাবে ওই দুই বিবাদীকে জেল হাজতে প্রেরণের সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ফখরুল ইসলাম এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আমজাদ হোসেন ওই বিচারকের চেম্বারে দেখা করতে গেলে তিনি তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ওই বিচারককে প্রত্যাহার করা না হলে আগামিতে কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আলীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আমজাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুজিৎ চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট তারিকুর রহমান তারিক সহ অন্যান্য আইনজীবীগণ।