আমাদের সরকারের একটাই লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলেই দেশ উন্নত হবে। বঙ্গবন্ধুর মতো মানুষেরা ক্ষণজন্মা, এরা কোন মরেননা, এরা চিরঞ্জীব। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটা স্বাধীন দেশ দিয়েছেন, আমাদের নিজস্ব পরিচয় দিয়েছেন। দেশের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনার সূচনা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই। তার হাত ধরেই সংবিধান পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু কবির মতো দেশের সকল উন্নয়ন সাজিয়েছেন। তিনি আমাদের মুক্তির কবি ছিলেন। বাংলাদেশের অর্থনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৪ সালের মধ্যে এই অঞ্চলে হংকং, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াকে হারিয়ে শীর্ষে অবস্থান করবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ টপ-২০ এর মধ্যে চলে আসবে।

শনিবার(১১ জানুয়ারি) নগরীরর হাতিরঝিলের এমফিথিয়েটারে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এই আনন্দ উৎসবের আয়োজন করে অর্থমন্ত্রনালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ(ইআরডি)। অনুষ্ঠান থেকে একযোগে বাংলাদেশের সকল উপজেলায় এবং কেন্দ্রীয়ভাবে উসব পালন ও বর্ণিল আতশবাজি করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস ও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে।

অর্থমন্ত্রী আরা বলেন, আমাদের জীবনে বেদনার দিন একটাই বঙ্গবন্ধুকে হারাতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একটাই লক্ষ্য জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে অনেক স্বপ্ন এখন বাস্তব হয়ে আমাদের সামনে উঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য অনুযায়ী সব কিছু বাস্তবায়ন করা হবে। ৩০ লাখ শহীদের নিকট আমাদের অনেক ঋণ। মুক্তিযুদ্ধে ২ লাখ মা বোন সব কিছু হারিয়েছেন। তাদের ঋণ পরিশোধ কখনও হবে না। দেশের উন্নয়নে তাদের আত্মা শান্তি পাবে। বঙ্গবন্ধুকে সব সময় স্মরণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু যেন হাজার বছর আমাদের সামনে উজ্জল নক্ষত্রের মতো থাকে। বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মধ্যে আজীবন বাঁচিয়ে রাখতে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনার সূচনা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই। তার হাত ধরেই সংবিধান পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু কবির মতো দেশের সকল উন্নয়ন সাজিয়েছেন। তিনি আমাদের মুক্তির কবি ছিলেন। নিজে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান মালা সাজিয়েছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের(ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ।

ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি। যিনি বিশ্ব দরবারে আমাদের দিয়েছেন একটা ভুখন্ড, একটি পতাকা, একটি মানচিত্র ও আমাদের পরিচয়। তিনি জন্ম নিয়েছিলেন বলেই জন্ম নিয়েছে বাংলাদেশ। সেই ক্ষণজন্মার জন্মশতবার্ষিকীকে সামনে রেখেই ইআরডির পক্ষ থেকে আমাদের এই আয়োজন। তৃণমূল পর্ায়ে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ স্বত:স্ফূর্তভাবে উদযাপনের জন্য আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক অনন্য সত্ত্বা। এককে বাদ দিয়ে অন্যকে কল্পনা করাও অসম্ভব। আমাদের আজকের যে উন্নয়ন, তা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই তার সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করছেন।